বিশ্বনাথ প্রতিনিধি
বিশ্বনাথে সতের বছর বয়সী এক কিশোরের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার নাম সাইম আহমদ। সে বিশ্বনাথ পৌরশহরের জানাইয়া নোয়াগাঁও গ্রামের মো. নিজাম উদ্দিনের ছেলে। গেল বুধবার (২৭ নভেম্বর) রাত ১০টায় একই গ্রামের তাহির মিয়ার বসতঘর থেকে ঝুলন্ত অবস্থায় গলায় ওড়না পেছানো তার লাশ উদ্ধার করা হয়। পরে দ্রæত উপজেলা সদরে ডাক্তারের শরণাপন্ন হলে ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যায় থানা পুলিশ। গভীর রাত পর্যন্ত এ ঘটনার চুলছেঁড়া বিশ্লেষণে নামে তারা। তবে, এটি আত্মহত্যা না কি পরিকল্পিত হত্যাকান্ড? তা জানাতে পারেনি।
স্থানীয় সূত্র জানায়, তাহির মিয়া কিশোর সাইমের চাচা (পিতার চাচাতো ভাই) হওয়ার সুবাদে তাদের বাড়িতেই থাকতো সে। সহযোগিতা করতো সাংসারিক কাজে। ঘটনার দিন বিকেলে তাকে বাড়িতে রেখে, পার্শ্ববর্তী নিজেদের পুরাতনবাড়িতে (সাইমদের বাড়ি) বেড়াতে যান তার চাচি। ওই সময় উপজেলা সদরে নিজের ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠানে ছিলেন চাচা তাহির মিয়া। পরে রাত ১০টায় গৃহকর্ত্রী বাড়ি ফিরে দেখেন তালাবদ্ধ বাড়ির গেইট। ডাকাডাকি করে ভেতরেম সাইমের কোন সাড়া না পেয়ে চাচা তাহির মিয়াকে ফোনে জানানো হয়। পরে তাহির মিয়াসহ ভিকটিমের মা’র উপস্থিতিতে তালা ভেঙ্গে বসত ঘরে প্রবেশ করেন তারা। তখন একটি বেডরুমে সিলিং ফ্যানের রডের সাথে তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পান তারা।
ভিকটিমের পিতা নিজাম উদ্দিন জানান, ‘ এ বিষয়ে কথা হলে বিশ্বনাথ পুলিশ স্টেশনের অফিসার ইনচার্জ মো. রুবেল মিয়া বলেন বিষয়টি জানতে বাড়ির মালিক ও ভিকটিমের পরিবাররের সদস্যদের জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। তারপরও মৃতুর সঠিক কারণ বের করতে ভিকটিমের মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। তদন্ত রির্পোটের আলোকে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।