সাবেক কাউন্সিলর লায়েককে আদালত চত্বরে কিল-ঘুষি, কারাগারে প্রেরণ

0

স্টাফ রিপোর্টার
আদালতে তোলার সময় জনরোষের শিকার হয়েছেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের (সিসিক) ৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ লায়েক। পুলিশি প্রহরা থাকলেও সেটি উপেক্ষা সাধারণ জনগণ লায়েককে লাথি-কিল-ঘুষি দেন। তাকে দালাল-দখলবাজ আখ্যা দিয়ে গালাগাল করেন। রবিবার দুপুরে সিলেটের আদালত পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।
কোতোয়ালি থানার উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. ইবায়দুল্লাহ এ তথ্য নিশ্চিত করে বলেন, ১৩ মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আসামি সাবেক কাউন্সিলর আবুল কালাম আজাদ লায়েককে আদালতে তোলা হয়। এসব মামলার পাঁচটির তদন্ত কর্মকর্তা আমি। লায়েকের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা রয়েছে, সেটি তদন্ত করেছে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)। লায়েককে গ্রেফতারের পর পর তিনি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন। যে কারণে তাকে রিমান্ডে চাওয়া হয়নি। তাকে আদালতে তোলার জন্য নিয়ে এলে তিনি জনরোষে পড়েন। প্রিজন ভ্যান থেকে নামানোর সময় বিক্ষুব্ধরা তাকে পেছন থেকে অতর্কিতভাবে হেনস্তা করেন।
গত শনিবার রাজধানী ঢাকার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি প্লাট থেকে লায়েকসহ এক নারীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পরে তাকে সড়ক পথে সিলেটে আনা হয়। দীর্ঘ যাত্রায় অসুস্থ হয়ে পড়লে সন্ধ্যা ৭টার দিকে তাকে এমএজি ওসমানী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা করানোর পর কোতোয়ালি মডেল থানায় নেওয়া হয়। এদিকে লায়েকের সাথে আটক ওই নারীর নাম সূবর্ণা বলে জানিয়েছে পুলিশ। তাকে ৫৪ ধারায় চালান দেওয়া হয়েছে।
কোতোয়ালী থানার জেনারেল রেজিস্টার অফিসার (জিআরও) উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) বিমল চন্দ্র দে বলেন, গ্রেফতারকৃত নগরীর মুন্সিপাড়া ১৬ নং বাসার মৃত আব্দুর রশিদ বাবুর ছেলে আবুল কালাম আজাদ লায়েককে কোতোয়ালী থানার পেনাল কোড ৪১ (৩০-০৮-২০২৪), কোতোয়ালী থানার বিস্ফোরক আইনের ৩২ (২৫-১০-২০২৪), কোতোয়ালী থানার বিস্ফোরক আইনের ২ (০২-০৯-২০২৪) ও কোতোয়ালী থানার বিস্ফোরক আইনের ২২ (২৩-০৮-২০২৪) নং মামলায় তাকে উক্ত আদালতে হাজির করা হয়। বিকেলে আদালতের নির্দেশে তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে। তবে ধৃত আসামীর বিরুদ্ধে রিমান্ড আবেদনের কাগজ এখনও আমাদের কাছে আসেনি।
কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জিয়াউল হক বলেন, সাবেক কাউন্সিলর ও আওয়ামী লীগ নেতা আবুল কালাম আজাদ লায়েকের বিরুদ্ধে ১৩টি মামলা রয়েছে। সবগুলো মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে আদালতে তোলা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠান।
গত ৫ আগস্ট পট পরিবর্তন ও আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর সিসিকের আওয়ামীপন্থী কাউন্সিলররা আত্মগোপনে চলে যান। লায়েকও একই পথ ধরেছিলেন।