দেশবরেণ্য চলচ্চিত্র নির্মাতা আমজাদ হোসেনের শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়েছে। ইমপালস হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগের সিনিয়র কনসালটেন্ট শহিদুল্লাহ সবুজ এমন তথ্যই দিয়েছেন। তার অধীনেই চলছে গুণী এই নির্মাতার চিকিৎসা।
আমজাদ হোসেন শারীরিক অবস্থা প্রসঙ্গে চিকিৎসক শহিদুল্লাহ সবুজ সোমবার (১৯ নভেম্বর) বিকেল ৪টায় সাংবাদিকদের জানান, আমজাদ হোসেনকে আন্তর্জাতিক মানের চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এরপরও তার অবস্থার কোনোও উন্নতি দেখা যাচ্ছে না। বরং গতকালের চেয়ে অবস্থার অবনতি হয়েছে।
তিনি বলেন, এ নির্মাতার ব্রেনের রক্তনালী বন্ধ হয়ে স্ট্রোক হয়েছে। এর আগে তার হার্টের রিদমে অসুবিধা ছিল। সেখান থেকে স্ট্রোকের উৎপত্তি হয়েছে, ব্রেনের দুপাশেই বড় রক্তনালী বন্ধ হওয়ায় স্ট্রোক হয়েছে। এ অবস্থায় বিপদ মুক্ত হওয়ার সুযোগ খুবই কম থাকে।
এ বিষয়ে আমজাদ হোসেনের ছেলে পরিচালক সোহেল আরমান বাংলানিউজকে বলেন, বাবার অবস্থা ভালো না। এ অবস্থায় দেশের বাইরে নিয়ে যাওয়াও সম্ভব হচ্ছে না। সন্তান হিসেবে বাবার জন্য দোয়া চাওয়া ছাড়া আর কিছু বলার নেই।
এর আগে রোববার (১৮ নভেম্বর) সকালে নিজ বাসভবনে আমজাদ হোসেন ব্রেন স্ট্রোকে করলে দ্রুত তাকে রাজধানীর আয়েশা মেমোরিয়াল হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে ইমপালস হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তার চিকিৎসার তত্ত্বাবধান করছেন হাসপাতালের নিউরোলজি বিভাগের চিকিৎসক মহিউদ্দিন। এই চিকিৎসক বোববার জানান, আমজাদ হোসেন ঘুমের মধ্যেই স্ট্রোক করে খাট থেকে পড়ে যান। বড় আকারে স্ট্রোকের কারণে তিনি ঝুঁকির মধ্যেও আছেন। এরপর উনার মস্তিষ্কে অস্ত্রোপচার করা লাগতে পারে। তবে ৭২ ঘণ্টা না গেলে কিছুই বলা যাচ্ছে না।
গোলাপি এখন ট্রেনে, ভাত দে, কসাই, নয়নমণি, দুই পয়সার আলতা’, জন্ম থেকে জ্বলছিসহ এমন আরও কিছু জনপ্রিয় সিনেমার কাহিনীকার, চিত্রনাট্যকার ও পরিচালক আমজাদ হোসেন।
গুণী এই নির্মাতা চলচ্চিত্রশিল্পে তার অসামান্য অবদানের স্বীকৃতস্বরুপ-জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, একুশে পদক, স্বাধীনতা পদকসহ একাধিক রাষ্ট্রীয় ও আন্তর্জাতিক পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।