৬ হাজারের বেশি অস্ত্র উদ্ধার, গ্রেপ্তার ২৫০০

3

কাজির বাজার ডেস্ক

অপরাধ দমন, অপরাধীদের গ্রেপ্তার ও অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করা হচ্ছে জানিয়ে মিলিটারি অপারেশনস ডাইরেক্টরেটের স্টাফ কর্নেল ইন্তেখাব হায়দার খান বলেছেন, ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর থেকে এ পর্যন্ত ৬ হাজারের বেশি অস্ত্র করা হয়েছে। এছাড়া ২ লাখ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার করেছে সেনাবাহিনী। অস্ত্র-গোলাবারুদ সংশ্লিষ্ট আড়াই হাজারের বেশি ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সেনানিবাসের বনানী রেল ক্রসিং সংলগ্ন স্টাফ রোডের মেসে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। ‘ইন এইড টু সিভিল পাওয়ার’ এর আওতায় মোতায়েন করা সেনাবাহিনীর কার্যক্রম নিয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, গত দুই মাসে সাতশর বেশি বিভিন্ন ধরনের ‘বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি’ নিয়ন্ত্রণ করেছে সেনাবাহিনী। এর মধ্যে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সংক্রান্ত ঘটনা ছিল ১৪১টি, সরকারি সংস্থা ও অফিস সংক্রান্ত ঘটনা ছিল ৮৬টি, রাজনৈতিক দলের ঘটনা ছিল ৯৮টি।
কর্নেল ইন্তেখাব হায়দার খান জানান, ইন্ডাস্ট্রিয়াল সেক্টরে এ পর্যন্ত ৬০০টির বেশি আনরেস্ট হয়েছে। এগুলোর মধ্যে অনেকগুলো ভায়োলেন্ট ছিল। অন্যান্য বাহিনীর সহায়তা নিয়ে এগুলো যদি সময়মতো প্রতিরোধ বা শান্ত করার ব্যবস্থা না করা হতো, তাহলে অনেক বেশি ঘটনা ঘটতে পারত।
অপরাধের সংখ্যা ‘অনেক কমেছে’ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, সেনাবাহিনী ম্যাজিস্ট্রেসি ক্ষমতা পাওয়ার পর অপরাধের সংখ্যা ‘অনেক কমেছে’। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হয়নি। তবে যতটুকু আশা করা গেছে সে অনুযায়ী উন্নতি হয়নি। পুলিশ বাহিনী ধীরে ধীরে তাদের কার্যক্ষমতা ফিরে পাচ্ছে। অন্যান্য বাহিনীর সহায়তা নিয়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উন্নয়নে প্রচেষ্টা অব্যাহত আছে।
কর্নেল ইন্তেখাব হায়দার খান বলেন, জনগণের জানমাল, রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনাসহ সরকারি বেসরকারি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থাকে রক্ষা করার পাশাপাশি পুলিশ বাহিনীকে পুনরায় কার্যক্ষম হতে সহায়তা করে আসছে সেনাবাহিনী। বিদেশি ক‚টনীতিক, দূতাবাস ও কারখানার নিরাপত্তা দেওয়ার পাশাপাশি সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখার কাজটিও সেনাবাহিনী করছে।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মানবাধিকার লঙ্ঘন বা বিচারবহিভর্‚ত হত্যা বন্ধে সেনাবাহিনী অত্যন্ত সচেতন। এ ব্যাপারে সর্বোচ্চ পর্যায়ে থেকে নির্দিষ্ট আদেশ রয়েছে, সেনাবাহিনী যে কোনো পরিস্থিতিতে তা প্রতিরোধে করবে। অনেক ঘটনাই ঘটে গেছে, যেগুলো জনসম্মুখে আসে না।