স্টাফ রিপোর্টার :
নগরীর সোবহানীঘাটস্থ ওয়েসিস হাসপাতালে এক নবজাতকের মৃত্যুর সংবাদ পাওয়া গেছে। গতকাল মঙ্গলবার রাতে হাসপাতালে ৮ম তলায় সিসিইউতে এই মৃত্যুর ঘটনাটি ঘটে। নবজাতকের পিতা অজিত লস্কর জানান, গেলো ২৪ মার্চ নিজ অন্ত:স্বত্ত্বা ৭ মাসের স্ত্রীকে নগরীর পার্কভিউ হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে এক পুত্র সন্তান লাভ করেন অজিত লস্কর। চিকিৎসা শেষে নবজাতক সাথে নিয়ে মনের আনন্দে নিজ বাড়ি জকিগঞ্জের আটগ্রামে চলে যান। বাড়ি যাওয়া পরবর্তী থ্রিট্রাম জন্ম নেওয়া বাচ্চার শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে থাকে। অবস্থা বেগতিক দেখে অজিত লস্কর নবজাতককে আবারো পার্কভিউ হাসপাতালে নিয়ে যান। সিসিইউ না থাকায় পার্কভিউ কতৃপর্ক্ষ নবজাতকের পিতাকে নগরীর সোবহানীঘাটস্থ ওয়েসিস হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ প্রদান করেন। ১০ এপ্রিল ওয়েসিস হাসপাতালের ৮ম তলায় সিসিইউতে শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ ডা. জাকারিয়ার তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা চলে নবজাতকের।
এদিকে, মঙ্গলবার সকাল থেকেই নবজাতকের সমস্যা পূর্বের থেকে বেশি বৃদ্ধি পেলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি অবগত করা হয়। এ সময় হাসপাতালে কর্তব্যরত চিকিৎসক নবজাতক পুরোপুরি সুস্থ্য এবং এখন থেকে নিশ্চিন্তে কেবিনে থাকতে পারেন বলে অভয় দেন। বেলা ১ টার দিকে আবারো নবজাতকের সমস্যা দেখা দিলে অজিত লস্কর হাসপাতালের মাধ্যমে ডা. জাকারিয়াকে ফোন দিয়ে নবজাতককে দেখার অনুনয় করেন। পরবর্তীতে হাসপাতাল থেকে একাধিকবার ডা. জাকারিয়াকে ফোন দেওয়া হলেও তিনি নবজাতক দেখতে আসেননি এমনটি জানিয়েছেন হাসপাতালের সহকারি পরিচালক ডা.তাপস দেব রাহুল।
ডাক্তারের অবহেলাকে দায়ি করে কান্নাজড়িত কণ্ঠে অজিত লস্কর বলেন, শুধুমাত্র হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের অযতœ, ডাক্তারের অসহযোগীতার কারণে বিকেল সাড়ে ৫টায় আমার সন্তানকে চিরদিনের জন্য চলে গেছে না ফেরার দেশে।
এদিকে, ডাক্তারি অবহেলায় নবজাতকের প্রাণহানির ঘটনায় হাসপাতালের সহকারি পরিচালক ডা. ডা.তাপস দেব রাহুল বলেন, বিষয়টি নি:সন্দেহে পীড়াদায়ক। বিষয়টি নিয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তাছাড়া, এ বিষয়ে নবজাতকের পরিবারের সাথেও কথা বলা হয়েছে-জানিয়ে তিনি বলেন, উভয় পক্ষের সম্মতিক্রমে বিষয়টি সুন্দর সমাধানের জন্য আগামী ২৩ এপ্রিল তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।