সিলেটে পান সুপারি আর জর্দার কারণে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ছে

1

সিলেটে পান সুপারি আর জর্দার কারণে ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ছে। বিশেষ করে মুখ গহŸর আর মুখ মন্ডলে ক্যান্সারের রোগী সিলেটে অনেক বেশি। সিলেটের নর্থ ইষ্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় এমন তথ্য উঠে এসেছে। মঙ্গলবার দুপুরে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় হাসপাতালের ব্যবস্থাপনা পরিচালক অধ্যাপক ডাক্তার শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী ও অনকোলজি বিভাগের চিকিৎসকরা এসব তথ্য প্রদান করেন।
চিকিৎসকরা জানান, সিলেটের আঞ্চলিক খাবার পান সাদা জর্দার কদর সর্বত্র রয়েছে। আর এই খাবারগুলিই একজন মানুষকে ক্যান্সারের ঝুঁকিতে ফেলে দেয়। একইসাথে, ঢাকার বাইরে একমাত্র পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার হাসপাতাল নর্থ ইষ্টে এ পর্যন্ত প্রায় ৫০ হাজার ক্যান্সার রোগী ইনডোর ও আউটডোরে চিকিৎসা গ্রহণ করেছেন বলেও মতবিনিময় সভায় জানানো হয়। কনফারেন্স রুমে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় সভাপতিত্ব করেন নর্থ ইষ্ট মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ও নর্থ ইষ্ট মেডিকেল প্রাইভেট লিঃ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ শাহরিয়ার হোসেন চৌধুরী। তিনি বলেন, সিলেটে একমাত্র নর্থ ইষ্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে সবধরনের অপারেশন অন্যান্য হাসপাতাল ও ক্লিনিক থেকে প্রায় অর্ধেক মূল্যে করা হয়ে থাকে, যা সিলেটের অনেক মানুষের জানা নেই। নর্থ ইষ্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের উদ্দেশ্য হচ্ছে সিলেটের আপামর জনগণ যেন সিলেটের বাইরে থেকে চিকিৎসা না নেয়। সভায় অধ্যাপক ডাঃ গুলজার আহমেদ বলেন, একমাত্র সিলেটের মানুষের কারনে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতাল থেকে তিনি নর্থ ইষ্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যোগদান করেছেন। তিনি আরও বলেন, নর্থ ইষ্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে কলোরেকটাল সার্জারির সবধরনের অপারেশন অত্যন্ত দক্ষতার সাথে করা হয়ে থাকে।
অনকোলজি বিভাগের অধ্যাপক ডাঃ দেবাশীষ পাটোয়ারী বলেন, নর্থ ইষ্ট ক্যান্সার হাসপাতাল সিলেটে একমাত্র স্বয়ংসম্পূর্ণ হাসপাতাল হওয়ায় এখানে রোগীর চাপ অনেক বেশি। যে সকল ক্যান্সারের রোগী আসেন তার মধ্যে বেশিরভাগ রোগী মুখের ক্যান্সারে আক্রান্ত হন। অর্থোপেডিক্স বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডাঃ আলমগীর আদিল সামদানি বলেন, নর্থ ইষ্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল হাইওয়ের পাশে হওয়ায় প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ রোড এক্সিডেন্ট হয়ে আসেন, যাদের বেশিরভাগকেই ইমার্জেন্সি চিকিৎসা প্রদান করা হয়। শুধুমাত্র হাড় ভাঙা রোগীর চিকিৎসা নয়, এখানে হিপ ও নি রিপ্লেসমেন্টের চিকিৎসাও নিয়মিত করা হয়ে থাকে।
মতবিনিময় সভায় আরো বক্তব্য দেন নাক, কান, গলা বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ডাঃ মোঃ খালেন আহমদ, সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ আজহারুল ইসলাম রানা, কার্ডিওলজি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ডাঃ ইকবাল আহমেদ, ডেন্টাল ইউনিটের প্রধান অধ্যাপক ডাঃ ইমরান আহমেদ ও ক্রিটিকাল কেয়ার মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ মহসিন মামুন।
মতবিনিময় সভার শেষে, নর্থ ইষ্ট মেডিকেল কলেজের গভর্নিং বডির চেয়ারম্যান ও হাসপাতাল পরিচালক অধ্যাপক ডাঃ মোহাম্মদ আফজল মিয়া নর্থ ইষ্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নতুন নতুন বিভাগ ও চিকিৎসা সেবার যন্ত্রপাতি অন্তর্ভুক্ত করার তথ্য তুলে ধরেন যাতে সিলেটবাসী একই ছাদের নিচে সবধরনের চিকিৎসা সেবা পায়। সেই লক্ষ্যে নর্থ ইষ্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কাজ করে যাচ্ছে বলেও জানান তিনি। বিজ্ঞপ্তি