মো. আব্দুল হাছিব
সিলেটসহ দেশের বিভিন্ন সিটি করপোরেশনের কার্যক্রম পরিচালনার জন্য কমিটি গঠন করে দিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। সিটি করপোরেশনগুলোর প্রশাসক হবেন এই কমিটির প্রধান। সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে সদস্য সচিব করে কমিটিতে বিভিন্ন সরকারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের রাখা হয়েছে সদস্য হিসেবে। কমিটির সদস্যরা কাউন্সিলরদের দায়িত্ব পালন করবেন। বৃহস্পতিবার ২৬ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সরকার বিভাগ এ বিষয়ে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ শামছুল ইসলাম স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, পুনরাদেশ না দেওয়া পর্যন্ত সিটি করপোরেশনের সার্বিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনার লক্ষ্যে (স্থানীয় সরকার সিটি করপোরেশন) (সংশোধন) অধ্যাদেশ, ২০২৪-এর ধারা ২৫ (ক) (২) মোতাবেক সরকার কর্তৃক নিম্নরূপভাবে কমিটি করা হলো।
এই কমিটি স্থানীয় সরকার অধ্যাদেশ অনুযায়ী সিটি করপোরেশনের প্রশাসকের কর্ম সম্পাদনে সহায়তা করবে। কমিটির সদস্যরা কাউন্সিলরের দায়িত্ব পালন করবেন।
সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রশাসক বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দীকী, এনডিসি সংশ্লিষ্ট কমিটির প্রধান। একইভাবে সদস্য সচিব সিসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ইফতেকার আহমদ চৌধুরী। সিটি করপোরেশনে কমিটির সদস্য সংখ্যা ২১ জন। কমিটির সদস্যরা হবেন- এসএমপি পুলিশ কমিশনারের প্রতিনিধি, পানি সরবরাহ শাখার প্রতিনিধি, নগর উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি, বন্দর কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি, জেলা প্রশাসকের প্রতিনিধি, বিটিসিএল এর প্রতিনিধি, গণপূর্ত অধিদপ্তরের তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী, সড়ক ও জনপদ বিভাগের তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী, স্বাস্থ্য বিভাগের পরিচালক, জাতীয় গৃহায়ণ কর্তৃপক্ষের তত্ত¡াবধায়ক প্রকৌশলী, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের প্রতিনিধি, পরিবেশ অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, বন অধিদপ্তরের প্রতিনিধি, বাংলাদেশ অভ্যন্তরীন নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি, প্রাথমিক শিক্ষার উপপরিচালক, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষার উপপরিচালক। এই কমিটির প্রথম সভা সিটি করপোরেশনের কনফারেন্স রুমে আজ সোমবার ৩০ সেপ্টেম্বর বসবে।
বিগত ৫ আগষ্টের পর অন্তর্র্বতী সরকার ক্ষমতায় আসে। এবং ১১ দিনের মাথায় ১৯ আগস্ট দেশের সব সিটি করপোরেশনের মেয়রদের অপসারণ করা হয়। সেদিনই সিটি করপোরেশনে প্রশাসক নিয়োগ দেয় অন্তর্র্বর্তীকালীন সরকার। এই সিটি করপোরেশনগুলোর মধ্যে কেবল রংপুরে জাতীয় পার্টির মেয়র ছিলেন। বাকি ১১টিতেই দায়িত্বে ছিলেন আওয়ামী লীগ নেতারা। সিটির মেয়রদের মধ্যে প্রায় সবাই আত্মগোপনে অথবা মামলার আসামি হয়েছেন। তাদের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ সমর্থক কাউন্সিলররা ও কার্যালয়ে আসছিলেন না। অনেকেই দেশ ছেড়ে বিভিন্ন দেশে পালিয়ে গেছেন। এই অবস্থায় স্থানীয় সরকার বিভাগ এ সকল সিদ্ধান্তসমূহ গ্রহণ করে।