সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময়কালে সিলেটের নবাগত পুলিশ কমিশনার জনতার পুলিশ হিসেবে কাজ করে যেতে চাই

16

স্টাফ রিপোর্টার
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের (এসএমপি) নবাগত পুলিশ কমিশনার মোঃ রেজাউল করিম পিপিএম (সেবা) বলেছেন, আমি নিজে চাকুরী জীবনে দীর্ঘ দিন থেকে বৈষম্যের শিকার হয়েছি। ছাত্র জনতার ত্যাগের বিনিময়ে পদোন্নতি পেয়ে আজ আপনাদের মাঝে এসেছি। সিলেট পবিত্র এই নগরী খুবই শান্তিপূর্ণ পূণ্যভ‚মি হিসেবে সারা দেশের মানুষের কাছে সুপরিচিত। ছাত্র জীবন থেকে সিলেটের সাথে আমার হৃদিক একটা সর্ম্পক রয়েছে।
বুধবার বেলা ৩ টায় সিলেট নগরীর শাহজালাল উপশহর এফ বøকের এসএমপি পুলিশের অস্থায়ী কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
রেজাউল করিম পিপিএম বলেন, আমাদের পুলিশ, সাংবাদিক, সুশীল সমাজ ও জনগনের সম্পৃক্ততা থাকলে ও আমরা একইসাথে কাজ করলে জনতার পুলিশ হিসেবে পুলিশের পরিচিতি হবে। আমরা দলীয় বা কোনো গোষ্ঠীর পুলিশ নয় আমরা প্রজাতন্ত্রের কর্মচারী হিসেবে সবাইকে নিয়ে কাজ করতে চাই। স্বাধীন বাংলাদেশের পুলিশ হিসেবে আমাদের দায়িত্বও রয়েছে।
আমরা মেট্রোপলিটন পুলিশ সিলেট মেট্রোপলিটন এরিয়াকে শান্তির নগরী হিসেবে গড়তে চাই জানিয়ে তিনি আরও বলেন, বিগত দিনে পুলিশের কিছু অসাধু কর্মকর্তার বাড়াবাড়িতে যে ঘটনাগুলো ঘটেছে তাদেরকে আইনের আওতায় এনে শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। তাহলে ভবিষ্যতে কেউ আর আইনের দায়িত্ব পালনের সময়ে অপরাধ করার সাহস করবে না। আমরা সাংবাদিক আবু তাহের মো. তুরাবের রুহের মাগফেরাত কামনা করছি ও তাঁর পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি। তিনি বলেন, সাংবাদিক তুরাব হত্যার সাথে যারা জড়িত তাদের আইনের আওতায় আনা হবে ও শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। বিগত দিনে যারা অবৈধ অস্ত্র নিয়ে রাজপথে প্রদর্শন করেছেন ও ব্যবহার করেছেন সেগুলো উদ্ধারে আপনাদের সহযোগিতা চাই।
রেজাউল করিম বলেন, ছাত্র জনতার আন্দোলনের সময় আমাদের অনেক পুলিশ সদস্য আহত ও নিহত হয়েছেন। পুলিশ সদস্যদের মনে ভয়ভীতির সঞ্চার হয়েছে ও কাজ করার মনোবল কমেছে। এই সুযোগে পুলিশ সদস্যদের দিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পায়তারা করা হয়েছিল। এই দুঃসময়ে আমরা পুলিশ সদস্যের বুঝিয়েছি ও এই অবস্থাও কাটিয়ে উঠেছি। আমাদেরকে শান্তি, শৃঙ্খলা ও দেশের কল্যানে কাজ করে যেতে হবে। আমরা জনতার মাঝে জনতার পুলিশ হিসেবে থাকতে চাই। বিগত দিনে যারা অন্যায় কর্মকান্ড করেছেন, যারা দুর্বৃত্ত ও অপরাধী তাদের ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। বক্তব্যের শুরুতেই নগরবাসীকে শুভেচ্ছা জানিয়ে নিরাপদ ও শান্তিপূর্ণ নগর গড়ার তুলার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন নবাগত এই পুলিশ কমিশনার।
সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার এর বক্তব্যের পূর্বে সিলেটের সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বক্তব্য রাখেন। বক্তব্যে সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ বলেন, সাংবাদিক আবু তাহের মো. তুরাব হত্যাকারীদের আইনের আওতায় আনা, অবৈধ চিনি ব্যবসা বন্ধ করা, অস্ত্র, মাদক ও চোরাইপথে ভারতীয় পণ্য সিলেট নগরী হয়ে সারা দেশে যাচ্ছে, এই সব কর্মকান্ড বন্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। এগুলো অতীতে প্রশাসনের এক শ্রেণির কর্মকর্তাদের যোগসাজশে হয়েছে। বিগত ছাত্র-জনতার আন্দোলনে যে অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শন হয়েছে সেগুলো উদ্ধার ও সমাজে জনতার পুলিশ হিসেবে কাজ করে যাওয়ার আহবান জানান সাংবাদিক নেতৃবৃন্দ।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- এসএমপি পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তা, সিলেট প্রেসক্লাব, সিলেট জেলা প্রেসক্লাব, সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাব, ইমজার সাংবাদিক নেতৃবৃন্দসহ সিলেটে কর্মরত সকল প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিকস ও অনলাইন গণমাধ্যমের সাংবাদিকবৃন্দ।