কোম্পানীগঞ্জ প্রতিনিধি
গত এক সপ্তাহ সিলেটের কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার জালিয়ারপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ছিল উত্তপ্ত। সাবেক ২ ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুর রউফ ও অঞ্জনা দেবীকে নিয়ে এলাকায় ২টি গ্রæপ তৈরি হয়। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ জালিয়ারপাড় শাহ আরেফিন এলাকা উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। ২ জনের পক্ষেই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে অভিযোগ দেন এলাকাবাসী। পরবর্তীতে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের হস্তক্ষেপে নতুন দায়িত্ব দেওয়া হয় সহকারী শিক্ষক সাজ্জাদুর রহমানকে।
সদ্য সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক আব্দুর রউফ দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন ২০১৭ সাল থেকে। এসময়ে স্কুলের বাউন্ডারি, নতুন স্কুল ভবন ও বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে গাছ লাগিয়ে সৌন্দর্য বর্ধনের কাজ করেন। তবে একটি পক্ষ বিভিন্ন অভিযোগ তুলে তাকে প্রধান শিক্ষকের পদ থেকে অপসারণের দাবি করে। এর আগে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক ছিলেন অঞ্জনা দেবী। ২০১২ সাথে কমিটি ও একালার মানুষের সাথে তিনি বিরোধে জড়িয়ে পড়লে ডেপুটেশনে তাকে মইয়ারচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
২০১৭ সালে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে অঞ্জনা দেবী আবারও এই স্কুলে ফিরেন। সম্প্রতি সরকার পতনের পর একটি পক্ষ তাকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হতে উৎসাহী করে। তাদের সঙ্গে তিনি মোটরসাইকেল শোডাউনে স্কুল থেকে উপজেলা যান। এর পর তাকে কেন্দ্র করে আবারও শুরু হয় বিশৃঙ্খলা। এলাকার অনেকেই ২০১২ সালের অঞ্জনা দেবীর করা মামলা ও এলাকাবাসীর সাথের বিরোধের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা শুরু করে। বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফেসবুকে পাল্টাপাল্টি পোস্ট দিতে থাকেন ২ শিক্ষকের সমর্থকরা। পরবর্তীতে রবিবার (১ সেপ্টেম্বর) উপজেলা শিক্ষা অফিসার টিটু কুমার ও সহকারী শিক্ষা অফিসার সাহিদুল ইসলাম জালিয়ারপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে এসে বিষয়টির মিমাংসা করেন। এসময় তাদের কাউকে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব না দিয়ে সহকারী শিক্ষক সাজ্জাদুর রহমানকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেন।
এদিকে আব্দুর রউফকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক বহাল রাখার দাবিতে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর স্মারক লিপি প্রদান করা হয়। তবে আব্দুর রউফ জানান এলাকায় শান্তি বিরাজের সার্থে উপজেলা শিক্ষা অফিসারের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছেন।
কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা শিক্ষা অফিসার টিটু কুমার বলেন, আমরা স্কুলের সকল শিক্ষকদের নিয়ে আলোচনা করে বিদ্যমান জটিলতা নিরসন করতে সক্ষম হয়েছি। যেহেতু সেখানে কোন প্রধান শিক্ষক নাই তাই সকলের মতামতের ভিত্তিতে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সহকারী শিক্ষক সাজ্জাদুর রহমানকে। তবে ২টি গ্রæপ এ বিষয়টি নিয়ে রাজনীতি শুরু করেছিল যা কাম্য নয়। তবে কোন দুর্নীতি বা অপকর্মের জন্য কাউকে দায়িত্ব থেকে সরানো হয়নি। এলাকার বিশৃঙ্খলা এড়াতে এমন প্রদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।