প্রবীণ রাজনীতিবিদ এবং বাংলাদেশের কমিউনিষ্ট পার্টি সিলেট জেলার সাবেক সভাপতি বেদানন্দ ভট্টাচার্য্য বলেছেন, আধুনিক বাংলা সাহিত্যে শামসুর রাহমানের অবদান অনিবার্যভাবেই স্বীকার করতে হবে। তিনি সাহিত্যের মধ্য দিয়ে সমাজ বদলের বীজ বপন করে গেছেন। যথাযথ পরিচর্যার মাধ্যমে এখন তা মহীরুহ বৃক্ষে পরিণত করতে হবে। তিনি বলেন, শামসুর রহমান রাজনীতি করতেন না। তিনি প্রগতিশীল চিন্তার আধুনিক সমাজ নির্মানের স্বপ্ন দেখতেন, অসাম্প্রদায়িক সমাজের কথা বলতেন। সেই আধুনিক এবং অসাম্প্রদায়িক চিন্তা থেকে আমরা যতোটা সরে যাচ্ছি ততোই জঙ্গিবাদ এবং মৌলবাদের আস্ফালন বেড়েই চলছে। তাই, এ অবস্থার পরিবর্তনের জন্য সর্বাগ্রে কবি, সাহিত্যিক এবং সংস্কৃতি কর্মীদের সর্বাগ্রে এগিয়ে আসতে হবে। তবেই শামসুর রহমান এর প্রতি আমাদের যথার্থই সম্মান প্রদান করা হবে।
তিনি শুক্রবার (১৭ আগষ্ট) প্রারম্ভিকা প্রকাশ সিলেটের আয়োজনে কবি শামসুর রাহমানের ১২তম প্রয়াণ দিবসে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখছিলেন।
ছড়ার মহাজন ও ছড়া পরিষদ সিলেটের সহ-সভাপতি অজিত রায় ভজনের সভাপতিত্বে ও গীতিকবি হরিপদ চন্দ’র সঞ্চালনায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, গল্পকার জামান মাহবুব, খেলাঘর সিলেটওে সভাপতি তাজুল ইসলাম বাঙ্গালী, দেশের খ্যাতনামা ছড়াকার ও সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট সিলেটের সভাপতি জয়নাল আবেদীন জুয়েল, ডা.গৌরাঙ্গ দেব ও নবনির্বাচিত কাউন্সিলর কবি নাজনীন আক্তার কণা।
মুখ্য আলোচক ছিলেন, অধ্যাপক আজির হাসিব। স্বাগত বক্তব্য রাখেন কবি ধ্র“ব গৌতম।
অনুষ্ঠানে লেখা পাঠ ও আলোচনায় অংশ নেন, প্রগতিশীল রাজনীতিবিদ সাথী রহমান, মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, কবি বিমল কর,আনোয়ার হোসেন মিসবাহ, দেবব্রত রায় দিপন, মাসুদা সিদ্দিকা রুহী, গল্পকার জ্যোতিশ মজুমদার, আল মামুন বাবলু,জাকির শাহ, এমরান ফয়সল, মাসুদা সিদ্দিকা রুহী, সৈয়দ মুক্তদা হামিদ,আব্দুল কাদির জীবন, রুদ্র, আলমগীর হোসেন রিয়াদ প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি