জেনারেল ওসমানী ছিলেন আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মহানায়কদের একজন -বিভাগীয় কমিশনার

5

সিলেট বিভাগীয় কমিশনার (অতিরিক্ত সচিব) আবু আহমদ ছিদ্দীকী (এনডিসি) বলেছেন, জেনারেল ওসমানী ছিলেন আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মহানায়কদের একজন। তাঁর সুষ্ঠু পরিকল্পনা ও সুদক্ষ নেতৃত্বে দ্রæতগতিতে মুক্তিযুদ্ধ পরিচালিত হয়। তিনি বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী যোদ্ধা পাকিস্তানি বাহিনীকে নাস্তানাবুদ করে ৯ মাসেরও কম সময়ে বিস্ময়কর বিজয় অর্জন করেন। তিনি আরো বলেন, ওসমানী কেবল সিলেটের নন, তিনি পুরো বাংলাদেশের গর্ব। এ মহান কর্মবীরের জীবনী থেকে শিক্ষা নিয়ে দেশপ্রেমে উদ্বোদ্ধ হয়ে আমাদের সবাইকে সুন্দর একটি বাংলাদেশ বিনির্মানে কাজ করতে হবে।
বঙ্গবীর জেনারেল মহম্মদ আতাউল গণি ওসমানীর ১০৬তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ওসমানী জাদুঘরের উদ্যোগে খতমে কোরআন, আলোচনা সভা, পুরস্কার বিতরণ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রবিবার ওসমানী জাদুঘর প্রাঙ্গণে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিলেট সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মো. আরিফুল হক চৌধুরী।
ওসমানী জাদুঘরের সহকারী কীপার মো. আমিনুল ইসলাম এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট বিভাগীয় দ্রæত বিচার ট্রাইবুন্যালের স্পেশাল পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট সরওয়ার আহমদ চৌধুরী আবদাল, ওসমানী গবেষক ও বহুগ্রন্থ প্রণেতা সিনিয়র সাংবাদিক মোহাম্মদ ফয়জুর রহমান, সিলেট জেলা আইনজীবি সমিতির সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট এমাদ উল্লাহ শহিদুল ইসলাম, ফুলকলি ফুড প্রডাক্ট লিমিটেড সিলেটের ডিজিএম জসিম উদ্দিন খন্দকার, গণ গ্রন্থাগার অধিদপ্তর সিলেটের উপ-পরিচালক দিলিপ কুমার সাহা। অনুষ্ঠানের শুরুতে পবিত্র কোরআন থেকে তিলাওয়াত জালালাবাদ নোয়াকুরুম জামে মসজিদের ইমাম হাফেজ মো. হাবিবুর রহমান।
এদিকে মুক্তিযুদ্ধের সর্বাধিনায়ক ও জাতীয় জনতা পার্টির প্রতিষ্ঠাতা বঙ্গবীর জেনারেল মুহাম্মদ আতাউল গণি ওসমানীর ১০৬তম জন্মবার্ষিকীতে জাতীয় জনতা পার্টির শ্রদ্ধাঞ্জলি নিবেদন।
রোববার বাদ যোহর হযরত শাহজালাল (রহ.) মাজার সংলগ্ন মরহুমের সমাধিতে জাতীয় জনতা পার্টির জাতীয় কমিটির আইন বিষয়ক সম্পাদক অ্যাডভোকেট তাহমিনুল ইসলাম খানের নেতৃত্বে ফুলেল শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে ফাতেহা পাঠ ও জিয়ারত করা হয়।
জিয়ারত শেষে মাজার প্রাঙ্গনে এক সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে জাতীয় জনতা পার্টির আইন বিষয়ক সম্পাদক ও সিলেট জেলা সভাপতি অ্যাডভোকেট তাহমিনুল ইসলাম খান বলেন, ছাত্র জনতার দুঃসাহসিকতা ও আন্দোলনের ফলে দুঃসশাসনের অবসান হয়েছে। জাতীয় জনতা পার্টির পক্ষে আন্দোলনের সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ও আহতদের সুস্থতা কামনা করে তিনি আরো বলেন, আন্দোলনের ফলাফল বাস্তবায়ন করতে গণঅভ্যুত্থানের পর শান্তিতে নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে প্রধান উপদেষ্টা করে যে অন্তর্র্বতীকালীন সরকার গঠন করা হয়েছে সেই সরকারের প্রতি আস্থা রয়েছে আমাদের। জাতীয় জনতা পার্টি ও জেনারেল ওসমানী বিগত সরকারের আমলে নানা বৈষম্যের শিকার হয়েছেন। বঙ্গবীর ওসমানী প্রতিষ্ঠিত জাতীয় জনতা পার্টিকে নিবন্ধন না দিয়ে নির্মূল করার ষড়যন্ত্র করা হয়েছিল। মুক্তিযুদ্ধের এ সর্বাধিনায়ককে ইতিহাস বিকৃত করে প্রধান সেনাপতি হিসেবে তরুণ প্রজন্মের কাছে উপস্থাপন করা হয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন। তিনি জাতীয় জনতা পার্টির পক্ষ থেকে অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনে গঠিত এই অন্তর্র্বতীকালীন সরকার সকল দলের অংশ গ্রহণে একটি নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠা করবে বলে আমরা বিশ^াস করি।
এসময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় জনতা পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির মুক্তিযুূদ্ধ বিষয়ক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা কাজী গোলাম মর্তুজা, সিলেট বিভাগীয় সমন্বয়কারী ও সিলেট জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আকলিছ আহমদ চৌধুরী, সহ-সভাপতি প্রফেসর আব্দুল মুহিত, সেলিম আহমদ চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক আমিনুল ইসলাম বকুল, সাংস্কৃতিক সম্পাদক তুহিন আহমদ খান, দপ্তর সম্পাদক কিরণ দেব নাথ, সিলেট মহানগর কমিটির সভাপতি সাবের সফকত জাহান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক শফিকুর রহমান শফিক, সাংগঠনিক সম্পাদক ফারুক আহমদ চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক আব্দুর রহিম প্রমুখ। -বিজ্ঞপ্তি