পানি মাড়িয়েই কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীরা

11

স্টাফ রিপোর্টার
সিলেটে বন্যার মধ্যেই শুরু হয়েছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়। এর আগে সকাল ৯টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে পরীক্ষার্থীরা কেন্দ্রে পৌঁছান। কিন্তু সিলেটের অনেক কেন্দ্রে এখনও পানি রয়েছে। ফলে পানি মাড়িয়ে পরীক্ষায় বসেন শিক্ষার্থীরা।
তবে চলমান বন্যা পরিস্থিতি নিয়ে পরীক্ষার্থী ও অভিভাবকরা দুশ্চিন্তায় থাকলেও কলেজ কর্তৃপক্ষ পরীক্ষার্থীদের সুবিধায় কাদামাটিতে বালি ফেলে প্রবেশদ্বারে খানিকটা সুবিধা করার চেষ্টা করেছেন।
সরেজমিনে বন্যা কবলিত দক্ষিণ সুরমা সরকারি ডিগ্রি কলেজে গিয়ে দেখা গেছে, কলেজটির প্রবেশদ্বার থেকে শুরু করে অভ্যন্তরে এখনো বন্যার পানিতে রাস্তা ও আঙিনা ডুবে আছে। শিক্ষার্থীদের প্রবেশে রাস্তায় ফেলা হয়েছে বালির বস্তা। সেই বালির বস্তার ওপর দিয়ে কলেজে প্রবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। একইভাবে বোর্ডের অনেক কেন্দ্রে এভাবে বন্যার পানি মাড়িয়ে এইচএসসি পরীক্ষায় অংশ নেন। তবে বন্যার কারণে কিছু কিছু কেন্দ্র স্থানান্তর করেছে বোর্ড কর্তৃপক্ষ।
দক্ষিণ সুরমা সরকারি কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ মতিউর রহমান বলেন, কলেজের প্রবেশ পথে পানি থাকলেও পরীক্ষার্থীদের সুবিধার্থে রাস্তায় বালুর বস্তা দেওয়া হয়েছে। কয়েকটি শ্রেণিকক্ষে পানি রয়েছে। তবে সেগুলোতে পরীক্ষার হল রাখা হবে না। এছাড়া বালাগঞ্জ ডিএন উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থাকলেও সেখানে পানি থাকায় এ কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীরা বালাগঞ্জ সরকারি কলেজে পরীক্ষা দিচ্ছেন বলে জানা গেছে।
সিলেট শিক্ষাবোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক অধ্যাপক অরুণ চন্দ্র পাল সাংবাদিকদের বলেন, বন্যা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়াতে কেন্দ্রের আশপাশে কোনো পানি নেই। এটা বিবেচনা করেই গতকাল মঙ্গলবার থেকে এইচএসসি পরীক্ষা শুরু হয়েছে।
জানা গেছে, বোর্ডের অধীনে পুরো বিভাগের ৩০৯টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৮২ হাজার ৭৯৫ পরীক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় বসেছেন। মোট পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ৩৩ হাজার ৫৯০ জন এবং ছাত্রী ৪৯ হাজার ২০৫ জন।
বোর্ডের অধীনে এবার সিলেট জেলায় পরীক্ষার্থী সংখ্যা ৩৫ হাজার ৬২০ জন, সুনামগঞ্জে ১৫ হাজার ৬৬৪ জন, মৌলভীবাজারে ১৬ হাজার ৫০৮ জন ও হবিগঞ্জে ১৫ হাজার তিনজন পরীক্ষার্থী আছেন। বিভাগের চার জেলায় মোট ৮৭টি পরীক্ষাকেন্দ্র রয়েছে। এর মধ্যে সিলেটে ৩৩টি, সুনামগঞ্জে ২২টি, মৌলভীবাজারে ১৪টি ও হবিগঞ্জে ১৮টি।