বিশ্বম্ভরপুর সংবাদদাতা
ভারত থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে সুনামগঞ্জের বিশ্বম্ভরপুর উপজেলার বন্যা পরিস্থিতির আরো অবনতি হচ্ছে। সীমান্ত নদী দিয়ে প্রবল বেগে পানি উপজেলার ভাটির দিকে ও হাওরে প্রবেশ করেছে। এ কারণে নদ-নদী ও হাওরের পানি বাড়তে থাকায় উপজেলার নিম্নাঞ্চলের বসত-বাড়িতে পানি উঠতে শুরু করায় ২২টি আশ্রয়কেন্দ্র আশ্রয় নিয়েছে দেড় হাজার বন্যা কবলিত অসহায় মানুষ।
পাহাড়ি ঢলের পানিতে ডুবে গেছে বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা শক্তিয়ারখলা-কৈয়ারকান্দা ১০০ মিটার সড়ক, শক্তিয়ারখলা-তাহিরপুর সড়কের কিছু অংশ ভেঙে ও পানিতে ডুবে যাওয়ায় যানবাহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।
সুনামগঞ্জ জেলার শহরের সাথে সড়ক পথে জামালগঞ্জ, বিশ্বম্ভরপুর, তাহিরপুর, মধ্যনগর ও ধর্মপাশা উপজেলার চলাচলকারী বাসিন্দারা চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। অনেকেই নৌকা দিয়ে প্রয়োজনের তাগিদে চলাচল করছে।
মঙ্গলবার সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মামুন হাওলাদার জানান, সুনামগঞ্জে সুরমা নদীর পানি বিপৎসীমার ২৭ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। টানা বৃষ্টিপাত হবে, এতে করে নদ-নদীর পানি বাড়বে, কোনো এলাকায় বিপৎসীমা অতিক্রম করতে পারে। নিচু এলাকায় বন্যার সম্ভাবনা রয়েছে। বিশ্বম্ভরপুর উপজেলা দক্ষিণ বাদাঘাট ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য কামাল হোসেন জানান, প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হচ্ছে, এ কারণে ভারত থেকে যাদুকাটা নদী দিয়ে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের পানিতে উপজেলার নিম্নাঞ্চলের বসত-বাড়িতে পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। পানিতে উপজেলার শক্তিয়ারখলা-কৈয়ারকান্দা-দূর্ঘাপুর সড়ক পানিতে ডুবে যাওয়ায় উপজেলার সাথে যোগাযোগ করতে গিয়ে নৌকায় চলাচল করছেন। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ মফিজুর রহমান জানান, বন্যা মোকাবেলা আমরা সতর্ক অবস্থানে আছি। বন্যা আশ্রয়কেন্দ্রগুলো খোলা রাখা হয়েছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত দেড় হাজার মানুষ উপজেলায় বিভিন্ন আশ্রয় কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছে পানি বাড়লে আশ্রয় প্রার্থীদের সংখ্যা আরো বাড়বে। আশ্রয়কেন্দ্রে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান রফিকুল ইসলাম তালুকদার, ভাইস চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন দিলু ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান জান্নাত মরিয়ম, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি বেজনির আহমেদ মানিক, পিআইও অফিসার শফিকুল ইসলামকে নিয়ে বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে।