কানাইঘাট থেকে সংবাদদাতা :
কানাইঘাট উপজেলায় ফের বন্যার আশংকায় জনমনে উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। সম্প্রতি উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে কানাইঘাট উপজেলায় ভয়াবহ বন্যা হলে রাস্তা-ঘাট, কাঁচা বাড়ী-ঘর এবং ব্যাপক ফসলী ধানের ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়। পাহাড়ী ঢলে সৃষ্ট বন্যার পানি সপ্তাহ খানেক আগে হাওর অঞ্চলে নেমে যায়। কিন্তু গত ৩ দিন ধরে টানা বারি বৃষ্টিপাত ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলের কারণে পুনরায় সুরমা সহ অন্যান্য নদ-নদী ও পার্শ্ববর্তী জকিগঞ্জ উপজেলার কুশিয়ারা নদীর পানি আশংকাজনক ভাবে বেড়ে যাওয়ায় উপজেলার সাতবাঁক, দীঘিরপার, লক্ষ্মীপ্রসাদ পূর্ব, লক্ষ্মীপ্রসাদ পশ্চিম ও রাজাগঞ্জ ও বড়চতুল ইউপিতে ফের বন্যা দেখা দিয়েছে।
গতকাল বুধবার বিকেল ৬টার দিকে কানাইঘাট সুরমা নদীর পানি বিপদ সীমার ১০৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছিল। গত মঙ্গলবার সুরমা নদীর পানি বিপদ সীমার ৬৯ সেন্টিমিটার ছিল। বুধবার বেলা বাড়ার সাথে সাথে সুরমা নদীর পানি বেড়েই চলছে। সুরমা নদীতে তীব্র ¯্রােত নেমে আসায় নদী ভাঙ্গন সহ নদীর তীরবর্তী এলাকায় বসবাসরত মানুষের মধ্যে ফের বন্যা নিয়ে উৎকণ্ঠা দেখা দিয়েছে। প্রায় ২০দিন পূর্বে পাহাড়ী ঢলের সৃষ্ট বন্যায় কোটি কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি সাধিত হয়। অনেক ফসলী জমি বিনষ্ট হয়। ফের বন্যার পানি বৃদ্ধি পেলে কৃষকরা জানিয়েছেন তাদের অবশিষ্ট আউস ধানের মাঠের সীমাহীন ক্ষয়ক্ষতি হবে। সাতবাঁক ইউপির চেয়ারম্যান মস্তাক আহমদ পলাশ ও দীঘিরপার ইউপির চেয়ারম্যান আলী হোসেন কাজল জানিয়েছেন ফের বন্যায় তাদের ইউনিয়নের গ্রামীন রাস্তা-ঘাট, ফসলী জমি তলিয়ে গেছে ও অনেক এলাকার বাড়ী-ঘরে পানি ঢুকে পড়ায় জনদুভোর্গ চরম আকার ধারণ করেছে।