শায়েস্তাগঞ্জে ইউপি চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে সদস্যদের অনাস্থা

28

চুনারুঘাট প্রতিনিধি

উন্নয়ন প্রকল্পের অর্থ লুট, ক্ষমতার অপব্যবহার ও ঘুষ-দুর্নীতিসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলার ব্রাহ্মণডোরা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা হুসাইন মো. আদিল জজ মিয়ার বিরুদ্ধে ১০ জন সদস্য অনাস্থা জানিয়েছেন। প্যানেল চেয়ারম্যান দিলকুশ মিয়ার নেতৃত্বে লিখিত অনাস্থা প্রস্তাবটি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে দেওয়া হয়েছে।
অনাস্থা প্রস্তাবে সই করেন সদস্য মোহন মিয়া, সাদেক হুসেন, মহিবুর রহমান রাতুল, ছালেক মিয়া, ঝিনুক আক্তার, লুৎফুর রহমান, মোমেনা খাতুন, রেখা আক্তার ও সৈয়দা রিনা আক্তার।
প্রস্তাবে ইউপি সদস্যরা উল্লেখ করেছেন, দায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে ইউপি চেয়ারম্যান বিধি না মেনে নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন। সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন প্রকল্পে ভুয়া রেজুলেশন ও সই-স্বাক্ষর দেখিয়ে টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন। সদস্যদের অজান্তে নেওয়া স্বাক্ষর ও সিল সচিবের কাছে পাওয়া গেছে। তিনি ৭টি পূজা মÐপের জন্য দেওয়া রাজস্ব তহবিলের ৪০ হাজার টাকা আত্মসাৎ করেছেন। ইউনিয়নের বরাদ্দ আসলেও পরিষদের সভা না ডেকে বাড়িতে বসে একক সিদ্ধান্তে প্রকল্প নেন। বসতবাড়ির ওপর অতিরিক্ত কর আদায় করেন। এক মাসের মধ্যে স্মার্ট হোল্ডিং কার্ড দেওয়ার কথা বলে বাড়ি প্রতি ২০০ টাকা করে আদায় করেছেন। বছর গড়ালেও সেই কার্ড দেওয়া হয়নি। পরিষদের মাঠ ভরাটের টাকা ভুয়া প্রকল্প দেখিয়ে আত্মসাৎ করেছেন। একইভাবে অলিপুর বাজার উন্নয়নের টাকাও আত্মসাৎ করেন। এভাবে তহবিলের অর্থ নামমাত্র কাজ করে আবার কোথাও ভুয়া প্রকল্প দেখিয়েছেন। এক মাস যাবৎ গত অর্থবছরে ইউনিয়নের আয়-ব্যয়ের হিসাব চাইলেও তার পক্ষ থেকে সাড়া মেলেনি। এছাড়া গত উপজেলা নির্বাচনে তার পক্ষে কাজ না করায় সদস্যদের কোনো বরাদ্দ দেওয়া হবে না বলেও জানিয়ে দেন।
অভিযোগ নিয়ে কথা বলতে ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আদিল জজ মিয়ার মোবাইল ফোনে কল দেওয়া হলেও সাড়া মেলেনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ফারজানা আক্তার মিতা বলেন, ইউপি সদস্যদের অনাস্থা প্রস্তাবের লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। অনাস্থাপত্রের বিষয়ে সরকারি বিধি মোতাবেক পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।