কাজির বাজার ডেস্ক
অবরুদ্ধ গাজা উপত্যকায় নিরীহ ফিলিস্তিনিদের ওপর নির্বিচারে গণহত্যা চালিয়ে যাচ্ছে ইসরাইল। গত ২৪ ঘণ্টায় দখলদার বাহিনী গাজা সিটি, রাফা শহর ও নুসেইরাত শরণার্থী শিবিরে বিমান হামলা ও গোলাবর্ষণ করে। এতে ৪০ ফিলিস্তিনি নিহত এবং ২২৪ জন আহত হন। এতে গত অক্টোবর থেকে চলমান ইসরাইলি আগ্রাসনে উপত্যকাজুড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৩৭ হাজার ৮৩৪ জনে ঠেকেছে এবং আহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৮৬ হাজার ৮৫৮ জনে।
শনিবার অবরুদ্ধ উপত্যকার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এসব তথ্য জানিয়েছে। গাজার সিভিল ডিফেন্স এজেন্সি জানিয়েছে, বুরেজ শরণার্থী শিবিরে ইসরাইলি বিমান হামলার পর উদ্ধার তৎপরতা চালাতে গিয়ে তাদের তিন কর্মী নিহত হয়েছেন। সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা উদ্ধার কাজ চালাতে গেলে তাদের উপর বোমাবর্ষণ করে ইসরাইলি সেনারা। এতে আহত হয়েছেন আরও ১২ জন। গাজা সিটির একটি বাড়িতে ইসরাইলি বিমান হামলায় অন্তত চার শিশু নিহত এবং অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। এ ছাড়া গাজা সিটির আল-ওয়েধা স্ট্রিটে অবস্থিত আবু খাদরা গোত্রের বাড়িতে ইসরাইলি সেনাদের বোমাবর্ষণে নিহতদের মধ্যে দুটি শিশু রয়েছে।
এদিকে ইসরাইলি যুদ্ধবিমানগুলো গাজা সিটির ইয়ারমুক এলাকায় একটি আবাসিক বাড়িতে বোমা হামলা চালালে দুই শিশু নিহত ও পাঁচজন আহত হয়। অন্যদিকে গাজা উপত্যকার ফ্রন্টগুলোতে ইসরাইলি সেনা ও প্রতিরোধ যোদ্ধাদের মধ্যে সংঘর্ষ চলছে। গাজা সিটির পূর্বে অবস্থিত শুজাইয়া এলাকার তুমুল সংঘর্ষে অন্তত তিন ইসরাইলি সেনা নিহত হওয়ার কথা স্বীকার করেছে তেলআবিব।
গত ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর থেকে গাজায় ক্রমাগত নৃশংস হত্যাকাÐ চালিয়ে আন্তর্জাতিক নিন্দার মুখে পড়েছে ইসরাইল। এমনকি অবিলম্বে যুদ্ধবিরতির দাবিতে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে একটি প্রস্তাব পাস হলেও, হানাদার ইসরাইল সরকার তা লঙ্ঘন করে চলেছে।
আট মাসেরও বেশি সময় ধরে চলা ইসরাইলি আগ্রাসনের ফলে গাজার বিস্তীর্ণ অঞ্চল খাদ্য, বিশুদ্ধ পানি এবং ওষুধের অবরোধের মধ্যে ধ্বংসস্ত‚প ও মৃত্যুপুরিতে পরিণত হয়েছে।