মানবেতর অবস্থায় দিন কাটাচ্ছেন ফিলিস্তিনিরা

1

কাজির বাজার ডেস্ক

প্রতিনিয়ত আরও ‘মানবেতর অবস্থার’ সম্মুখীন হচ্ছেন গাজার জনসাধারণ। একদিকে গ্রীষ্মের তীব্র গরমে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন গাজায় বসবাসকারীরা; অন্যদিকে ক্ষুধা নিবারণের জন্য খাবার খুঁজতে গিয়ে ময়লা-আবর্জনা ঘাঁটছেন মোট জনসংখ্যার এক-তৃতীয়াংশ।
বুধবার আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে মানবিক সহায়তাবিষয়ক সংস্থা মার্সি কর্পস এই তথ্য দিয়েছে।
গাজায় হামলাও অব্যাহত আছে। শিবিরটির একটি জনবহুল আশ্রয়কেন্দ্র ও খান ইউনিসে একটি শরণার্থী শিবিরে হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এ ছাড়া উত্তর গাজার বেত লাহিয়ায় হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী। এতে প্রায় ১৫ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া মাটিচাপা পড়েছেন আরও অনেকে। ধ্বংসস্ত‚পের নিচে চাপাপড়া লোকদের উদ্ধারে কাজ করছেন উদ্ধারকর্মীরা।
গাজার স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ জানিয়েছে, হামলার সময় প্রায় ৪০ জন বাড়ির ভেতরে ছিলেন- যাদের বেশির ভাগই নারী ও শিশু।
আল-জাজিরার তথ্যানুসারে, গত ৭ অক্টোবরের পর থেকে ইসরায়েলের হামলায় গাজায় এ পর্যন্ত ৩৭ হাজার ৬৫৮ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৮৬ হাজার ২৩৭ জন। অন্যদিকে হামাসের হামলায় ১ হাজার ১৩৯ ইসরায়েলি নিহত হয়েছেন এবং গাজায় হামাসের হাতে জিম্মি রয়েছেন কয়েক ডজন ইসরায়েলি।
গত মঙ্গলবার ইসরায়েলের সামরিক বাহিনীর সাবেক জেনারেল ইয়োয়াভ গ্যালান্টের সঙ্গে বৈঠক করেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিন। এ সময় তিনি বলেন, ‘ইসরায়েল-লেবানন সীমান্তে সংঘাতের অবসান ঘটাতে যুক্তরাষ্ট্র জরুরি ভিত্তিতে একটি ক‚টনৈতিক চুক্তি চাচ্ছে। ইসরায়েল ও লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর মধ্যে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির যুদ্ধ এড়াতে ক‚টনৈতিক সমাধান প্রয়োজন।’ এ সময় অস্টিন যুদ্ধের উত্তেজনা বৃদ্ধির জন্য হিজবুল্লাহর ‘উসকানি’কে দায়ী করেন। এ থেকে পুরোদমে যুদ্ধ শুরু হয়ে গেলে তা সবার জন্য ধ্বংসাত্মক ও আঞ্চলিক উত্তেজনা সৃষ্টি করতে পারে বলেও উল্লেখ করেন তিনি। সূত্র: আল-জাজিরা