আইনের শাসন পাওয়া প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার : প্রধান বিচারপতি

10

কাজির বাজার ডেস্ক

বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসান বলেছেন, আইনের শাসন পাওয়া প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার। ন্যায় বিচার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আইনের শাসন নিশ্চিত করতে হবে। বুধবার দুপুরে বগুড়া জেলা আদালত চত্বরে বিচারপ্রার্থীদের জন্য নির্মিত বিশ্রামাগার ‘ন্যায়কুঞ্জ’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, দূর-দূরান্ত থেকে আগত বিচারপ্রার্থীদের অসুবিধা দূর করতে বাংলাদেশ সরকারের অর্থায়নে এবং বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের উদ্যোগে ‘ন্যায়কুঞ্জ’ নির্মাণ করা হয়েছে। সারা দেশের ৬৪টি জেলায় এই ন্যায়কুঞ্জ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে, যার একটি বগুড়ায়। বগুড়ায় বিচারপ্রার্থীদের সংখ্যা অনেক, তাই এই ন্যায়কুঞ্জে তাদের জন্য বিশ্রামের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এখানে দুটি শৌচাগার, একটি স্টোর, এবং একটি দুগ্ধদান কেন্দ্র রয়েছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ এ.কে.এম. মোজ্জামেল হক চৌধুরী, সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. শহিদুল্লাহ, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক নূর মোহাম্মদ শাহরিয়ার কবীর, প্রশাসনিক ট্রাইব্যুনালের সদস্য (জেলা জজ) শরনিম আকতার, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) আশিকুল খবির, চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মো. মনিরুজ্জামান, জেলা প্রশাসক মো. সাইফুল ইসলাম, পুলিশ সুপার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, বগুড়া সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ শফিউল আজম, বগুড়া গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এ.এইচ.এম. শাহরিয়ার তুহিন, বগুড়া বার সমিতির সভাপতি অ্যাডভোকেট আতাউর রহমান খান মুক্তা, সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জহুরুল হক জাফরসহ আরও অনেকে।
বগুড়া গণপূর্ত বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী এ.এইচ.এম. শাহরিয়ার তুহিন জানান, বগুড়ার আদালত চত্বরে ৫২ লাখ ৬৯ হাজার টাকা ব্যয়ে নির্মিত হয়েছে ন্যায়কুঞ্জ এবং নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে।
বগুড়া বারের বিশিষ্ট আইনজীবী অ্যাডভোকেট নাছিমুল করিম হলি বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের সব ক্ষেত্রে ব্যাপক উন্নয়ন হয়েছে। তিনি জনগণের ন্যায্য অধিকার আদায়ে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা করেছেন। ন্যায়কুঞ্জ স্থাপন তারই একটি অনন্য উদ্যোগ, যা বিচারপ্রার্থীদের বিশ্রামসহ বিভিন্ন সুবিধা প্রদান করবে।
উদ্বোধন শেষে প্রধান বিচারপতি বগুড়া জেলা ও দায়রা জজ আদালতের সভাকক্ষে জেলার বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তাদের উদ্দেশ্যে দিকনির্দেশনামূলক বক্তব্য প্রদান করেন।