সিলেটে চোরাই চিনি সিন্ডিকেট থেমে নেই, আরও ২৪৬ বস্তা চিনি জব্দ

1

স্টাফ রিপোর্টার
সিলেটে ভারতীয় চোরাই চিনি সিন্ডিকেট থেমে নেই। শুল্ক ফাঁকি দিয়ে প্রতিদিন কোথাও না কোথাও সিলেট সীমান্ত দিয়ে ঢুকছে ভারতীয় চোরাই চিনির চালান। বিষয়টি নিয়ে প্রশাসন নড়েচড়ে বসেছে। এদিকে কোম্পানিগঞ্জ সীমান্ত থেকে সিলেট শহরের দিকে আসা মালবোঝাই একটি ট্রাক দেখে সংকেত দেন চেকপোস্টের পুলিশ সদস্যরা। কিন্তু সংকেত অমান্য করে গাড়ি না থামিয়ে চালক দ্রæত গতিতে পাস কাটিয়ে চলে যান। সন্দেহ হওয়াতে পেছনে তাড়া করে পুলিশ। এরপরই সড়কের মধ্যে গাড়ি রেখে জঙ্গলের ভিতর দিয়ে নিরাপদে পালিয়ে যান ট্রাকের চালক ও তার সহযোগী। তখন ট্রাকটি চেক করে মিলে চোরাই চিনির লাখ লাখ টাকার চালান।
২৫ জুন মঙ্গলবার রাত সাড়ে ১১টায় সিলেট-কোম্পানিগঞ্জ সড়কের কাকুয়ারপারে এ ঘটনায় পুলিশ ট্রাকটি জব্দ করে। এর মধ্যে থাকা ১৩৫ বস্তা ভারতীয় চোরাই চিনি উদ্ধার করা হয়।
সিলেট মহানগর পুলিশের মিডিয়া কর্মকর্তা মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ট্রাকের চালক ও তার সহযোগীর নাম পরিচয় জানা যায়নি। একইসঙ্গে কারা এই চোরাই চিনির সঙ্গে জড়িত এখন পর্যন্ত তা পাওয়া যায়নি। তিনি বলেন, জব্দকৃত ১৩৫ বস্তা চিনির বাজারমূল্য ৭ লাখ ৮০ হাজার টাকার। এ ঘটনায় অজ্ঞাতনামা চালক ও সহযোগীর বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
জৈন্তাপুর প্রতিনিধি মুরাদ হাসান জানান, জৈন্তাপুর মডেল থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ১১১ বস্তা ভারতীয় চিনি উদ্ধার ও জব্দ করেছে। বুধবার ভোরে বাউরবাগ স্কুলের সামনে থেকে এ চিনিগুলো জব্দ করা হয়।
পুলিশ সূত্রে জানাযায় বুধবার ভোর সাড়ে ৫টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জৈন্তাপুর মডেল থানার এসআই (নিঃ) মো. আশরাফুল আলম, এসআই (নিঃ) নাইমুল ইসলাম সঙ্গীয় ফোর্সসহ অভিযান চালিয়ে জৈন্তাপুর ইউনিয়নের বাউরবাগ স্কুলের সম্মুখের সবড়ী নদী হতে দুইটি নৌকা থেকে ১১১ বস্তা ভারতীয় চিনি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাচালান চক্রের সদস্যরা পালিয়ে যান।
জৈন্তাপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি তাজুল ইসলাম পিপিএম বলেন, চোরাচালান মদক বিরোধী অভিযানের অংশ হিসাবে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান পরিচালনা করে ১১১ বস্তা ভারতীয় চিনি উদ্ধার করি। পলাতক আসামীদের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।