আজমিরীগঞ্জ ও মাধবপুরে পৃথক অগ্নিকান্ডে বসতঘর পুড়ে ছাই

29

হবিগঞ্জ সংবাদদাতা

হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জ ও মাধবপুরে অগ্নিকান্ডে বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। শুক্রবার ও বৃহস্পতিবার রাতে পৃথকভাবে এ অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
আজমিরীগঞ্জ: হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে বিদ্যুৎতের শর্ট সার্কিটের আগুনে একটি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। স্থানীয়রা প্রায় ঘণ্টাব্যাপী চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হন। শুক্রবার রাতে উপজেলার শিবপাশা ইউনিয়নের ২নং ওয়ার্ডের ভাগুলিয়া বাড়ী এলাকায় মৃত বুলু মিয়ার বাড়িতে এই অগ্নিকান্ডের ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য মোশাহিদ মিয়া জানান, শুক্রবার রাতে হঠাৎ করে বুলু মিয়ার বসত ঘরে আগুন দেখতে পান স্থানীয়রা। এ সময় কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই ঘরের সর্বত্র আগুন ছড়িয়ে পড়ে। প্রায় ঘন্টাব্যাপী চেষ্টায় স্থানীয়রা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হলেও ততক্ষণে বসতঘরটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
শিবপাশা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান নলীউর রহমান তালুকদার বলেন, খবর পেয়ে আমি মৃত বুলু মিয়ার বাড়িতে যাই। বিদ্যুতের শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সুত্রপাত হয়। শনিবার সকালে আমি ব্যাক্তিগত ভাবে পরিবারটিকে নগদ পাঁচ হাজার টাকা অর্থ সহায়তা প্রদান করেছি।
মাধবপুর: মাধবপুরে নেওর চাঁন (৬০) নামে এক মহিলার বসত ঘর আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টায় উপজেলার ধর্মঘর ইউনিয়নের দক্ষিণ দেবপুর আজমতপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
বৃদ্ধার প্রতিবেশী মশফিকুর রহমান জানান, মহিলা নেওর চাঁনের স্বামী অনেক বছর আগে মারা যান। স্বামী মারা যাওয়ার পর থেকে আমাদের বাড়িতে উনি একটা টিনসেট ঘরে এক ছেলে নিয়ে বসবাস করে আসছেন। গত দুই-এক মাস আগে সবার সহযোগিতায় জীবিকার তাগিদে তার ছেলে মালয়েশিয়ায় পাড়ি দেয়। পরে মহিলা এলাকায় অনেকের বাড়িতে কাজকর্ম করে কোন রকম ভাবে জীবন যাপন করছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে আমরা আমাদের ঘরে অবস্থান করছিলাম হঠাৎ মানুষের আগুন আগুন চিৎকার শুনে ঘর থেকে বের হয়ে নেওর চাঁনের বসত ঘরে আগুন দেখতে পাই। ওই সময় মহিলা ঘরে ছিলেন না। পরে চিৎকার শুনে আশেপাশের বাসিন্দারা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার আগেই ঘরটি পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
তিনি আরও জানান, ওই মহিলার প্রবাসী ছেলে প্রবাস থেকে তার মাকে প্রথম মাসের বেতন পাঠিয়েছিল। প্রবাসী ছেলের বেতনের টাকা মহিলার বসত ঘরেই রেখে ছিলেন। অগ্নিকান্ডের কারণে ছেলের পাঠানো নগদ টাকা, চাউল, হাস মুরগী, আসবাবপত্রসহ পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এতে প্রায় ২ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে জানিয়েছেন মশফিকুর রহমান।
এ বিষয়ে ধর্মঘর ইউপির সদস্য সোহরাব উদ্দিন জানান, নেওর চাঁনের বসত ঘরে অগ্নিকাÐের ঘটনা শুনার পর সকালে ঘটনাস্থল আমি দেখে এসেছি। আমাদের ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সাহেবের সাথে কথা বলে আমরা নেওর চাঁনকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করবেন বলে জানান তিনি।