বিদ্যুতের প্রি-পেইড মিটার ও গ্রাহক হয়রানি বন্ধের দাবিতে মানববন্ধন

4

গ্রাহক হয়রানি বন্ধ করতে ও ডিজিটাল মিটারের পরিবর্তে প্রি-পেইড মিটার স্থাপনের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করেছে প্রি-পেইড মিটার বিরোধী ও সচেতন নাগরিকবৃন্দ। বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় নগরীর ইলেকট্রিক সাপ্লাইস্থ বিদ্যুৎ অফিসের সামনে এই মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তারা গ্রাহকদের সেবা না দিয়ে উল্টো লুটপাট শুরু করেছে। অযৌক্তিক বিদ্যুতের প্রি-পেইড মিটার স্থাপন করে গ্রাহকদের হয়রানি করা হচ্ছে। আগে যেখানে এক মাসে ১ হাজার টাকা বিল আসতো, বর্তমানে প্রি-পেইড মিটারে এখন বিল আসছে ১৫০০ থেকে ৫ হাজার টাকা পর্যন্ত। এ অযৌক্তিক বিদ্যুতের বিল আসার ব্যপারে বার বার বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তাদের সাথে যোগাযোগ করেও কোন সমাধান পাচ্ছেনা গ্রাহকরা।
বক্তারা আরো বলেন, বর্তমানে প্রি-পেইড মিটারে আগের মিটারের চেয়ে প্রায় আড়াইগুণ বেশি বিল নেওয়া হচ্ছে। এছাড়া মিটার ভাড়া আগের চেয়েও চারগুণ। বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ থাকলেও মিটার থেকে টাকা কাটা হয়। তাছাড়া একাধিকবার কার্ড ক্রয়ের ঝামেলা পোহাতে হয় এবং হঠাৎ মিটার লক হয়ে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ হয়ে যায়।
অবিলম্বে এই অযৌক্তিক প্রি পেইড মিটার ও গ্রাহকদের হয়রানি বন্ধ না করলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
কামরুল হাসান শাহীন এর সভাপতিত্বে ও আনোয়ার হোসেন এর পরিচালনায় মানববন্ধনে বক্তব্য রাখেন এলাকার বিশিষ্ট মুরব্বী নুরুল ইসলাম, মাহতাব উদ্দিন, সাদিকুর রহমান সাদিক, মনা মিয়া, ইছন মিয়া, আফতাব আহমদ, আলী আহমদ ইদন, অনিল চন্দ্র দাস, সালেহ আহমদ, আব্দুল্লাহ শফী স্যায়িদ শাহেদ, শাহেদ আহমদ, বদরুল ইসলাম, হাবিবুর রহমান জুয়েল, জুবের আহমদ, সাইদুর রহমান আলেখ, বুলবুল মিয়া, জুনু মিয়া, মখলিছুর রহমান, রায়হান উদ্দিন রাজু, রুহেল উদ্দিন, টিপু, নাছির, সুজন, দেলওয়ার হোসেন, মনু মিয়া, জসিম মিয়া, কামাল আহমদ, দুলাল আহমদ, আমির হোসেন হাজারী প্রমুখ। বিজ্ঞপ্তি