জাকারিয়া হোসেন জোসেফ, দিরাই
প্রায় দেড় বছর আগে নির্মিত একটি কাঠের সেতু ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় এ বছর আর সেটি চলাচলের উপযুক্ত না থাকায় লাল নিশানা টাঙ্গিয়ে সতর্কতা অবলম্বন করতে বলা হয়েছে এ রোডে চলাচলকারী সকল যানবাহনের চালকদেরকে। ঝুঁকিপূর্ণ সেতুটির অবস্থান সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার করিমপুর ইউনিয়নের উত্তর চান্দপুরে। আর এই লাল নিশানাটি টাঙ্গিয়ে দিয়েছেন সাংবাদিক মুহাম্মদ আব্দুল বাছির সরদার।
জানা যায়, দিরাই শহর থেকে কালনী সেতু হয়ে ইউনিয়নের রজনীগঞ্জ বাজারসহ পূর্বাঞ্চলে যাতায়াতকারী লোকজনের হেমন্তে অন্যতম রাস্তা এটি। ২০২২ সালের ২১ জুলাই থেকে ৩রা সেপ্টেম্বরের ভেতরে এই সেতু নির্মাণের কাজ শেষ হয়। ৬০ ফুট দৈর্ঘ, ৮ ফুট প্রস্থ ও ১৬ ফুট উচ্চতার দুটি সেতুর সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে ৬ লাখ ৬ হাজার ৩৭৫ টাকা।
সরেজমিন দেখা যায়, সেতুর স্থানে আগে মাটির রাস্তা থাকায় যে কোন প্রকার যানবাহন স্বাভাবিকভাবে চলাচল করতে পারত। এ রোড দিয়ে হেমন্তে দিরাই থেকে রজনীগঞ্জ বাজারসহ পূর্বাঞ্চলে প্রচুর মোটর সাইকেল, সিএনজি, পিকআপ, এক্সেভেলেটর, লাইটেস, ধান কাটার মেশিনসহ বিভিন্ন ধরণের যানবাহন চলে। গত বছর এগুলো চলাচল করতে গিয়ে এ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি দুর্ঘটনার শিকার হয়। এতে কোন ধরণের প্রাণহানি না ঘটলেও প্রচুর মালামাল নষ্ট হয়েছে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে সাংবাদিক মুহাম্মদ আব্দুল বাছির সরদার বলেন, আমরা প্রতিদিন এ রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করি। সেতুটি নির্মাণে এর আশপাশের লোকজনের মতামত ছিল না। কিন্তু একটি মহল জনমত উপক্ষো করে তাদের পকেটভারীর স্বার্থে নির্মাণের সিদ্ধান্ত দিয়েছে। গত বছর জোড়াতালি দিয়ে চললেও এ বছর আর এটি ব্যবহার করা যাচ্ছে না। ফলে সাধারণ মানুষ চলাচলে ও প্রয়োজনীয় মালামাল নিতে সমস্যার সৃষ্টি হবে। এটি ভেঙ্গে দিয়ে মাটি ফেলে সড়কটি স্থায়ীভাবে নির্মাণ করলে মানুষের চলাচল ও মালামাল পরিবহনে কোন অসুবিধা হবে না।
করিমপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান লিটন চন্দ্র দাস জানান, সেতুটি চলাচলের অনুপযোগি তা আমি নিজেও দেখেছি। যেহেতু একটি এনজিও সংস্থা এটি নির্মাণ করে দিয়েছে, তাই তাদের এবং উপজেলার পরিষদের সংশ্লিষ্টদের সাথে আলোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।