বাবরুল হাসান বাবলু, তাহিরপুর
‘জালা বিছরা পুকাইয়া যাইতাছেগা আর কোন দিন বীজ দিবো? সরকারি বীজ যে সময় দেয় হেই সময় কোন কামে লাগেনা এর আগেই মানুষ ধান কিইন্যা জালা পালাই দেয়।’
মধ্য তাহিরপুর গ্রামের কৃষক আব্দুল মিয়া ও উজান তাহিরপুরের কৃষক আল আমিন শনিবার সকালে দু’জনে পরষ্পরের মধ্যে কথা বলছিলেন কৃষি অফিসের সরকারী প্রনোদনা বীজ পাওয়া নিয়ে। তাদের মতে উপজেলা কৃষি অফিস যখন বীণা মুল্যে কৃষকদের সামান্য বীজ ধান প্রনোদনা দেয় তখন তা কোন কৃষকের আর কাজে লাগেনা। কারণ সে বীজ পাওয়ার কমপক্ষে ২০ থেকে ২৫ দিন আগেই কৃষকদের চারা ভ‚মি শুকিয়ে যায় ফলে কৃষক বাজার থেকে বীজ ধান কিনে বপন কাজ শেষ করে ফেলেন। অপরদিকে উপজেলা কৃষি অফিস যখন সরকারী বীজ ধান সরবরাহ করেন তখন সে ধান কৃষকদের আর কোন আসে না। সুত্র জানায়, গত বছরগুলোতে উপজেলা কৃষি অফিসে নভেম্বর মাসের শেষ দিকে বীজ ধান বিতরণের বিষয়ে মিটিং হতো এবং বীজ ধান বিতরণ করতে করতে ডিসেম্বর মাসের মাঝামাঝি সময় পেরিয়ে যেতো। তখন মাঠ পর্যায়ে বীজ বপনের কোন কাজ আর অবশিষ্ঠ থাকতো না কৃষকদের।
কৃষি সম্প্রসারণ অফিস তাহিরপুর এর উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা(বালিজুরী ইউনিয়ন দায়িত্বপ্রাপ্ত)এ টি এম শফিকুল ইসলাম বলেন, আমার চেষ্ঠা করছি এবার একটু দ্রæততার সহিত দিতে সে লক্ষে আমরা কাজ করছি। মধ্য তাহিরপুর গ্রামের কৃষক ও তাহিরপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদে সাবেক চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দিন বলেন, হাওরের পানি শুকিয়ে যাচ্ছে। আগামী দু একদিনের মধ্যে কৃষক বোর বীজধান বপন শুরু করবে। সরকারী বীজ এখন পেলে কৃষকদের উপকার হবে।
তাহিরপুর উপজেলা উপজেলা কৃষি অফিসার হাসান উদ দৌলা বলেন, কৃষকদের তালিকা করা হচ্ছে আশা রাখি কিছু দিনের মধ্যে বোর জাতের বীজ ধান বিতরণের কাজ শুরু করতে পারবো।