প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে এক্সপ্রেসওয়ে যুগে পা রাখল বাংলাদেশ। পাশের দেশ ভারতে আগ্রা-লখনউ ৩০২ কিলোমিটার দীর্ঘ এক্সপ্রেসওয়েসহ দীর্ঘ ২৬টি এক্সপ্রেসওয়ে আছে। ২০১১ সালে শ্রীলঙ্কার দক্ষিণ অংশে চালু হয়েছে এক্সপ্রেসওয়ে। বাংলাদেশে প্রায় ২২ হাজার কিলোমিটার মহাসড়ক থাকলেও এর বেশির ভাগই বিশ্বমানের নয়। সেই হতাশা কাটিয়ে উঠে এক্সপ্রেসওয়ে যুক্ত হলো দেশের সড়ক অবকাঠামোয়। এতে ছোট-বড় যানবাহনের জন্য আলাদা আলাদা লেন, লেন ধরে একদিকেই সব গাড়ির চলাচল ও ক্রসিং এড়াতে উঠেছে ফ্লাইওভার, রয়েছে আন্ডারপাস ও আধুনিক ট্রাফিক সুবিধা। গত বৃহস্পতিবার ৫৫ কিলোমিটার দীর্ঘ দেশের প্রথম এক্সপ্রেসওয়ের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। দৃষ্টিনন্দন এই এক্সপ্রেসওয়ে উদ্বোধন করে তিনি বলেছেন, বিশ্বব্যাংক অর্থায়নের প্রতিশ্রুতি দিয়েও সরে যাওয়ার পর পদ্মার মতো খরস্রোতা নদীতে সেতু নির্মাণের এত বড় ঝুঁকি ও চ্যালেঞ্জ নেওয়ার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ সম্পূর্ণ নিজের টাকায় বড় অবকাঠামো গড়ার আত্মবিশ্বাস দেখিয়েছে।
মহাসড়কে গাড়ি চলতে গিয়ে বাধার মুখে পড়তে হয় বিভিন্ন মোড়ে। এতে যানজট ও বিশৃঙ্খলা শুধু নয়, যাত্রীদের ভ্রমণে আনন্দও থাকে না। এক্সপ্রেসওয়ে মোড়হীন, ইচ্ছামতো ডানে ও বাঁয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যের দিকে চলার ব্যবস্থা রয়েছে। ধীরগতির হালকা যানবাহনের জন্য মূল মহাসড়কের দুই দিকে আছে সার্ভিস লেন। এক্সপ্রেসওয়ের ঢাকা থেকে মাওয়া অংশ ৩৫ কিলোমিটার, পদ্মা নদীর অন্য পার পাঁচ্চর থেকে ভাঙ্গা পর্যন্ত ২০ কিলোমিটার দীর্ঘ। পদ্মা সেতু চালু হলে ঢাকা থেকে সরাসরি ফরিদপুরের ভাঙ্গা পর্যন্ত চলাচল করা যাবে এই এক্সপ্রেসওয়ে দিয়ে। বাংলাদেশের অর্থনীতির যে বিস্ময়কর উত্থান, তাতে আরো গতি আনবে এই এক্সপ্রেসওয়ে। বিশেষ করে পদ্মা সেতু নির্মিত হলে দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যে বিপ্লব ঘটে যাবে, তা দেখার অপেক্ষায় সবাই।