কক্সবাজারে হামুনের প্রভাবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি ৩ জনের মৃত্যু

7

কাজির বাজার ডেস্ক

ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে কক্সবাজারে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি সহ তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া প্রতিটি উপজেলায় অসংখ্য বসতবাড়ি ভেঙে গেছে। তাছাড়া পুরো জেলায় বিদ্যুৎ সংযোগ না থাকায় বিপাকে পড়েছে সাধারণ মানুষ। মঙ্গলবার কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক বিভীষণ কান্তি দাশ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
একই দিন রাত ৯টার জেলার কক্সবাজার শহরের পাহাড়তলীর জিয়া নগর এলাকায় দেয়াল চাপায় আবদুল খালেক (৩৮) নামের এক যুবক মারা যান। স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে আঘাত হানে ঘূর্ণিঝড় হামুন। এর প্রভাবে ভারী বৃষ্টিপাত ও তীব্র বাতাসের বেগ ছিল। ওই সময় আবদুল খালেক বাসায় কাজ করছিলেন। হঠাৎ বাড়ির দেয়াল তার গায়ের ওপর পড়ে। বাড়ির লোকজন তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়ার পথে তিনি মারা যান।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় হামুন এর তাÐবে গাছ পড়ে চকরিয়ার বদরখালীতে আসকর আলী নামে একজন নিহত হয়। তিনি জেলার চকরিয়া উপজেলার বদরখালী ইউনিয়নের ৪নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা ও বদরখালী সমবায় কৃষি ও উপনিবেশ সমিতির সদস্য। অন্যদিকে, হামুনের কবলে পরে মহেশখালীর বড় কুলাল পাড়ায় আরেকজনের মৃত্যু হয়েছে।
মহেশখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিমি মারমা জানিয়েছেন, মহেশখালীতে পানের বরজের ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হয়েছে। সদ্য লাগানো এই পানের বরজের প্রায় সবকটির উপরের ছাউনি ঝড়ো হাওয়ায় উড়ে গেছে। এতে সাধারণ মানুষ আর্থিকভাবে মারাত্মক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এছাড়া অসংখ্য ঘরবাড়ি ভেঙে গেছে। ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ নির্ণয় কাজ করছে ও প্রশাসন এবং স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
কক্সবাজার পৌরসভার মেয়র মাহবুবুর রহমান চৌধুরী জানিয়েছেন পৌর এলাকায় এখনো বিদ্যুৎ সংযোগ স্বাভাবিক হয়নি ভেঙে পড়া গাছের ডালপালা গুলি সরিয়ে নেয়া হচ্ছে সমুদ্র সৈকত এলাকায় দোকান এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।