গোয়াইনঘাট সংবাদদাতা
গোয়াইনঘাটে দুর্বৃত্তের দেওয়া কীটনাশকে ধ্বংস হয়েছে ১০ জন কৃষকের প্রায় ১৫ হাজার নাগা মরিচের চারা এবং ৩৩ শতক জমির ধান। শুক্রবার রাতে উপজেলার পূর্ব আলীরগাঁও ইউনিয়নের নয়াগ্রাম উত্তর এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে। এতে ওই ১০ কৃষকের প্রায় অর্ধকোটি টাকার ফসল নষ্ট হয়েছে বলে জানা গেছে। বিষে ঝরে পড়েছে ধানের থোড়। নেতিয়ে পড়েছে শেডে রাখা মরিচের চারাগুলো। এমন দৃশ্য দেখে নির্বাক কৃষক।
এ ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকদের একজন সানি আহমদ বাদী হয়ে গোয়াইনঘাট থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। জানা যায়, উপজেলার ৫ নম্বর পূর্ব আলীরগাঁও ইউনিয়নের নয়াগ্রাম উত্তর গ্রামে কৃষক আব্দুন নূর, আবুল হাসনাত, নিপন দাশ, আব্দুল হান্নান, ফয়সাল আহমদ, বাশির উদ্দিন, আব্দুল আহাদসহ আটজন মিলে প্রতি বছরের মতো এবারও তাদের ছয়টি শেডে প্রায় ১৫ হাজার নাগা মরিচের চারা রোপণ করেছিলেন। সেগুলো উপযুক্ত হওয়ার পর জমিতে রোপণ করার পর প্রতি বছর একেকজন কৃষক প্রতি হাজার নাগা মরিচের গাছ থেকে মরিচ বিক্রি করে প্রায় ৪-৫ লাখ টাকা আয় করে থাকেন। এ বছরও সময় ঘনিয়ে আসায় নাগা মরিচের চারা রোপণের জন্য জমির প্রয়োজনীয় পরিচর্যা শুরু করেছিলেন তারা। তবে সব স্বপ্ন শেষ হয়ে গেছে দুর্বৃত্তের বিষে।
অপরদিকে একই সময়ে একই গ্রামের আব্দুল হাশিম ও সানি আহমদের ৩৩ শতক জমির আমন ধানের থোড় দুর্বৃত্তরা কীটনাশক প্রয়োগে ধ্বংস করেছে বলে জানা গেছে। ঘটনার খবর পেয়ে স্থানীয় উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মন্তজুর আলম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি জানান, প্রতিটি নাগা মরিচের চারা রোপণের উপযুক্ত হয়েছিল। আর কিছুদিন পর থেকে ফল দেওয়া শুরু করত। প্রতি এক হাজার মরিচগাছ থেকে এক একজন কৃষক মরিচ বিক্রি করে প্রায় ৪ থেকে ৫ লাখ টাকা আয় করে থাকেন।
ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক সানী আহমেদ জানান, কে বা কারা তাদের এমন সর্বনাশ করল, তা জানা নেই। এ বিষয়ে থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দুর্বৃত্তদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনার আকুতি ছিল সব হারানো এই কৃষকের কণ্ঠে। এদিকে, এই ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়ে তদন্তকারী কর্মকর্তা গোয়াইনঘাট থানার এসআই আক্তারুজ্জামান ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।