শাবি থেকে সংবাদদাতা :
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি ফি বৃদ্ধির প্রতিবাদে পৃথক বিক্ষোভ-মিছিল ও সমাবেশ করেছে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট ও জাতীয় ছাত্রদল।
মঙ্গলবার দুপুর ১২.৫০ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জুনতলা হতে বিক্ষোভ মিছিল বের করে শাখা সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট। মিছিলটি ক্যা¤পাসের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থান প্রদক্ষিণ করে গোল চত্বরে এসে এক সমাবেশে মিলিত হয়।
সমাবেশে সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্টের আহ্বায়ক প্রসেনজিৎ রুদ্রের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ স¤পাদক নাজিরুল আযম বিশ্বাসের সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন আহ্বায়ক কমিটির সদস্য তৌহিদুজ্জামান জুয়েল, মঈনুদ্দিন মিয়া, সাধারণ শিক্ষার্থী সৌরভ মোস্তফা, ইউশা রশিদ।
বক্তারা বলেন, গত বছরের তুলনায় ১ম বর্ষের ভর্তি ফি প্রায় ৩৮ শতাংশ বেড়েছে। গতবছর যেখানে ভর্তি ফি ৬৮৫০ টাকা ছিল সেখানে একবারে ২৬৫০ টাকা বাড়িয়ে ৯৫০০ টাকা করা হয়েছে। ফলে পাঁচ বছরের ব্যবধানে শাবিতে ভর্তি ফি দ্বিগুন হয়েছে। এ সিদ্ধান্ত বেসরকারীকরণ ও বাণিজ্যিকীকরণকে উৎসাহিত করবে। এই অবস্থা চলতে থাকলে বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বার নি¤œমধ্যবিত্ত ও সমাজের একাংশের জন্য বন্ধ হয়ে যাবে যা অযৌক্তিক ও অগণতান্ত্রিক।
আবার একই সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন ডি এর সামনে থেকে জাতীয় ছাত্রদল আরেকটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে গোল চত্বরের পার্শ¦বতী যাত্রী ছাউনিতে একটি সমাবেশে মিলিত হয়।
সমাবেশে জাতীয় ছাত্রদলের সভাপতি রামকৃষ্ণ দাসের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ স¤পাদক রুপল চাকমার সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি অমৃত রায়, অর্থ স¤পাদক ওসমান গণি, সাবেক সাধারণ স¤পাদক মিহির দেবনাথ।
বক্তারা বলেন, শিক্ষা প্রত্যেক মানুষের মৌলিক অধিকার অথচ ভর্তি ফি যেভাবে বাড়ানো হচ্ছে এতে করে গরিব শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতে পারবে না। আমরা ভর্তি ফি বাড়ানোয় তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানায় এবং অতিদ্রুত ভর্তি ফি কমিয়ে আগের ভর্তি ফি বহাল রাখার জন্য দাবি জানাচ্ছি।
তারা আরো বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন চা-শ্রমিকদের সন্তানদের জন্য কোটার ব্যবস্থা করে শুভংকরের ফাঁকি দিয়েছেন। যেখানে চা-শ্রমিকরা মাসে ১০,০০০ টাকা উপার্জন করতে পারে না। সেখানে তারা ১০,০০০ টাকা ভর্তি হবে কিভাবে।