আন্তর্জাতিক দুর্যোগ প্রশমন দিবস-২০৩ উদযাপন উপলক্ষে জেলা প্রশাসন সিলেট এর আয়োজনে একটি বর্ণাঢ্য র্যালি জেলা প্রশাসক সিলেট শেখ রাসেল হাসান এর নেতৃত্বে পরিচালিত হয়। র্যালিতে উপস্থিত ছিলেন মোহাম্মদ মোবারক হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক); ইমরুল হাসান, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, তৌছিফ আহমেদ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব); সিলেট জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সুফিয়ান; জেলা প্রশাসকের কার্যালের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটগণ, মো: নুরুল ইসলাম, জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন অফিসার; সহকারী-পরিচালক, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, সিলেট, ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা, সিলেট সদর এবং সরকারী/বেসরকারী সংস্থার প্রতিনিধিগণ অংশগ্রহণ করেন। র্যালি শেষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান বলেন- সকল প্রকার দুর্যোগেই প্রান্তিক জনগোষ্ঠী সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তাই এ জনগোষ্ঠীকে দুর্যোগ পরবর্তী দুর্ভোগ সহজে কাটিয়ে উঠে স্বাভাবিক জীবনযাপনের জন্যে অর্থনৈতিকভাবে সক্ষম করে তোলা অপরিহার্য। বাংলাদেশে সেই সক্ষমতা গড়ে তোলার লক্ষ্যে বর্তমান সরকার প্রয়োজনীয় সকল উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। জেলা প্রশাসনের সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ মোবারক হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো আবু সুফিয়ান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা মো নূরুল ইসলাম। সহকারী কমিশনার মো মাহবুবুল ইসলামের সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন ফায়ার সার্ভিসের উপ পরিচালক শফিকুল ইসলাম ভ‚ঁইয়া, সিলেট সদন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভ‚মি) সম্রাট হোসেন, সিলেট জেলা প্রেসক্লাব ও ইলেক্ট্রনিক মিডিয়া জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন-ইমজার প্রতিষ্ঠাকালীন ও সাবেক সভাপতি আল আজাদ, প্রবীণ লেখক-সাংবাদিক আফতাব চৌধুরী, সিলেট অনলাইন প্রেসক্লাবের সভাপতি মুহিত চৌধুরী ও ব্রাকের সমন্বয়ক অনিক আহমদ অপু। জেলা প্রশাসক আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শতবর্ষের ব-দ্বীপ পরিকল্পনা দুর্যোগ মোকাবেলার সক্ষমতাকে সামনে রেখেই তৈরি করা হয়েছে।
তিনি জানান, দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশ এখন অন্যান্য দেশের সামনে উদাহরণ। ভ‚মিকম্প পরিস্থিতি মোকাবেলার আধুনিক সরঞ্জামাদিও দেশে আছে। তবে মানুষকে সচেতন করতে সবার কাজ করা প্রয়োজন। সিলেটে মহড়াসহ আরও কিছু পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। সিলেটে টিলার উপরে ও পাদদেশে বসবাসকে অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ উল্লেখ করে জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান বলেন, বারবার সতর্ক করেও বসবাসকারীদেরকে সরানো যায়নি। ইতোমধ্যে বসানো হয়েছে সতর্কবার্তা সম্বলিত বিল বোর্ড। এছাড়া ঝুঁকিতে থাকা এইসব মানুষকে অনলাইন ডাটাবেজের আওতায় আনা হচ্ছে।
জেলা প্রশাসক জানান, দুর্যোগ মোকাবেলায় উপজেলা পর্যায়ে পর্যাপ্ত অর্থ, চাল ও শুকনো খাবারসহ প্রয়োজনীয় অন্যান্য সামগ্রী মজুদ আছে।
আলোচনা সভার আগে একটি শোভাযাত্রা মহানগরীর বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
পরে ফায়ার সার্ভিসের উদ্যোগে জেলা প্রশাসক কার্যালয় প্রাঙ্গণে ভ‚মিকম্প পরিস্থিতিতে করণীয় বিষয়ে মহড়া অনুষ্ঠিত হয়।