নিখোঁজ কলেজছাত্র তিন দিন পর অচেতন অবস্থায় উদ্ধার

2

 

স্টাফ রিপোর্টার

দক্ষিণ সুরমার মোগলাবাজার থেকে নিখোঁজ হওয়া ইয়ামিন আরাফাত উরফে হামিম (১৯) নামের কলেজছাত্রকে তিন দিন পর অচেনত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার তাকে কদমতলী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। সে এখন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
ইয়ামিন আরাফাত মোগলাবাজার থানাধীন শ্রীরামপুর শেখপাড়া এলাকার জামাল উদ্দিনের ছেলে। গত মঙ্গলবার রাতে মুঠোফোন বিক্রির কথা বলে বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরেনি সে। এ ঘটনায় বুধবার তাঁর বাবা জামাল উদ্দিন মোগলাবাজার থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
পুলিশ সূত্র জানায়, খবর পেয়ে শুক্রবার সকাল ৮ টার দিকে কদমতলী কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল এলাকা থেকে ইয়ামিন আরাফাতকে অচেতন অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। পরে তাঁকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কথা বলার মতো পরিস্থিতিতে সে নেই। চিকিৎসকরা বলছেন, সুস্থ হলে তার কাছ থেকে বিস্তারিত জানা যাবে। আরাফাতকে উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মোগলাবাজার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এস এম মাঈন উদ্দিন।
আরাফাতের পরিবার জানায়, নিখোঁজ হওয়ার পর তার ব্যবহৃত মুঠোফোন নম্বর থেকে মায়ের মুঠোফোন নম্বরে একাধিকবার ফোন আসে। এ সময় অপর প্রান্ত থেকে আরাফাত জানিয়েছিলো- তাঁকে চারজন লোক আটকে রেখেছেন। তাদের হাতে বন্দুক আছে। ঘরে আলো-বাতাস ঢোকে না। এক দিনে মাত্র একটি বন (রুটি) খেতে দিয়েছে। সেই সঙ্গে এক লাখ টাকা চাঁদা দাবি করছে। টাকা দিলে তাঁকে ছেড়ে দেওয়া হবে। সর্বশেষ বুধবার রাতে আরাফাতের সঙ্গে কথা হয় পরিবারের সদস্যদের। এরপর ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
আরাফাত সিলেটের দক্ষিণ সুরমার শাহপরান (রহ.) সরকারি কলেজ থেকে এবার এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছেন। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে ইয়ামিন দ্বিতীয়। ইয়ামিন পড়ালেখার পাশাপাশি বাড়ির পাশে একটি কম্পিউটার কম্পোজ ও মুঠোফোনে টাকা লেনদেনের দোকান চালাতেন। এইচএসসি পরীক্ষার পর থেকে তিনি দোকানে নিয়মিত যাতায়াত করতেন। তাঁর মা সালমা আক্তার অসুস্থ, তাই আরাফাত তাঁর ব্যবহৃত মুঠোফোন বিক্রির জন্য মঙ্গলবার বাড়ি থেকে বেরিয়েছিলেন।