মোজাম্মেল আলম ভূঁইয়া, সুনামগঞ্জ থেকে
সুনামগঞ্জের সীমান্ত ঘেষা দৃষ্টিনন্দন পর্যটনস্পর্ট বারেকটিলায় নিয়ে প্রেমিকাকে দল বেঁধে ধর্ষণের ঘটনায় পৃথক অভিযান চালিয়ে বান্দবীসহ মোট ৫জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃতরা হলো-জেলার বিশ^ম্ভরপুর উপজেলার সলুকাবাদ ইউনিয়নের ডলুরা গ্রামের মৃত আক্কাছ আলীর মেয়ে ও ধর্ষিতার বান্দবী আখি আক্তার প্রিয়া (২০), তার বড়ভাই ধর্ষিতার প্রেমিক হ্নদয় আহমেদ (২৩), তার সহযোগী একই গ্রামের রমজান আলীর ছেলে আব্দুল আজিজ (২৪), একই ইউনিয়নের পাশের মথুলকান্দি গ্রামের একলাস মিয়ার ছেলে শামওয়েল আহমদ (২০) ও শামীম আহমদ (২৬)। বৃহস্পতিবার (২৮ মধ্যরাতে পৃথক স্থানে বিশ^ম্ভরপুর ও তাহিরপুর থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করেছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে- ধর্ষিতা কিশোরীর বাড়ি সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার একটি গ্রামে। পড়ালেখা ও চলা ফেরার সুবাধে পাশের বিশ^ম্ভরপুর উপজেলার বান্দবী আখি আক্তার প্রিয়ার বাড়িতে আসা যাওয়া করতো। তারই সূত্র ধরে বান্দবীর বড়ভাই হ্নদয় আহমদের সাথে ওই কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এমতাবস্থায় গত সোমবার (২৫ সেপ্টেম্ভর) বিকেলে ওই কিশোরী বান্দবী আখির বাড়িতে বেড়াতে গেলে প্রেমিক হ্নদয় আহমেদ বেড়ানোর কথা বলে পাশের তাহিরপুর উপজেলার সীমান্ত ঘেষা পর্যটনস্পর্ট বারেকটিলা নিয়ে যায়। এরপর সন্ধ্যায় ওই পর্যটন স্পর্টের নির্জন জায়গা নিয়ে প্রেমিকাকে, প্রেমিক হ্নদয় আহমেদ ও তার বন্ধুরা পালাক্রমে ধর্ষন করে। তারপর রাত ১১টার সময় ধর্ষিতা প্রেমিকাকে মোটর সাইকেল যোগে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার সুরমা সেতু সংলগ্ন রাধানগর এলাকা নিয়ে ফেলে রেখে যায় প্রেমিক ও তার বন্ধুরা। এঘটনার পর ধর্ষিতার চিৎকার শুনে স্থানীয় আসে এবং থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে ধর্ষিতাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করে।
এঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বিশ^ম্ভরপুর থানার ওসি শ্যামল বনিক ও তাহিরপুর থানার ওসি নাজিম উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান- ধর্ষনের ঘটনায় অভিযান চালিয়ে প্রেমিক ও বান্দবীসহ ৫জনকে গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে কারাঘারে পাঠানো হয়েছে। এঘটনার সাথে জড়িত কাউকে ছাড় দেওয়া হবেনা।