বাবরুল হাসান বাবলু, তাহিরপুর থেকে
নোংরা আবর্জনা বাড়ছে তাহিরপুরের বিভিন্ন পর্যটন স্পটে। হাওর বাওর, পাহাড়ী নদী নালা, টিলা ঘুরতে এসে কখনো পর্যটকরা কখনো স্থানীয় দোকনীরা সেই সাথে কিছু নৌকার মাঝিরা খাবারের উচ্চিস্ট ময়লা আবর্জনা ফেলছেন যত্রতত্র। ফলে একদিকে যেমন পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে অন্য দিকে সৌন্দর্য হারাচ্ছে তাহিরপুরে একাদিক দর্শনীয় স্থান সমূহ।
সম্প্রতি ট্যাকেরঘাট চুনাপাথর খনি প্রকল্প এলাকা ঘুরে দেখা গেছে ট্যাকেরঘাট এলাকায় নোঙ্গর করা নৌকার চারপপাশে পানিতে ভাসছে প্লাস্টিকের ওয়ান টাইম গøাস, খবারের প্লেট, পানির বোতল, কোল্ডড্রিংক্স এর বোতল, ইত্যাদি। বারেক টিলা এলাকাতে গিয়ে দেখা যায় কিছু প্লাস্টিকের বোতেলর পাশাপাশি, চিপস, চানাচুর, বিস্কুটের কাগজ, পলিথিন সহ ডাবের খোসা স্তোপাকারে ফেলে রাখা হয়েছে বারেকটিলার মেঘালয় ভিউ পয়েন্টে।
তার পাশে বসেই একাধিক দোকানী চা, বিস্কিট, লেবুর শরবত, বোতল জাত পানি, ডাব ইত্যাদি বিক্রি করছেন। সে সময় ময়লার স্তোপ দেখে কথা হয় লেবু শরবত বিক্রেতা কুদ্দুছ মিয়ার সাথে। দোকানের পাশে যত্রতত্র ময়লা ফেলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনে বলেন, আমি এখানে দোকান দেই। আমি কেন ময়লা ফেলতে যাবো। পর্যটকদেরও একই কথা। ময়লা আবর্জনা ফেলার বিষয়ে কেউই দায় নিতে রাজি নন। তাহিরপুর বনেদি হাউজবোটের মাঝি মহিবুর মিয়া, তিনি বলেন তাদের বোটে ময়লা ফেলার জন্য অনেকগুলো ডাস্টবিন রয়েছে। তাদের বোটে আগত পর্যটকরা বোটের ঝুড়িতেই ময়লা আবর্জনা ফেলেন।
ভ্রমন পিপাসু তাহিরপুরের গণ মাধ্যম কর্মী সাজ্জাদ হোসেন শাহ বলেন, শুক্রবার ও শনিবার হাজরো পর্যটকের সমাগম ঘটে হাওরে। শত শত নৌকা নোঙ্গর করা হয় ট্যাকেরঘাটে। এর মধ্যে কিছু হাউজবোট বা নৌকার লোকজন ময়লা ফেলার বিষয়ে কিছুটা নিয়ম মানলেও অনেকেই তা মানছেন না। যে কারণে পানিতে ময়লার ছড়াছড়ি কিছুটা চোখে পরে।
কান্ট্রি ট্যুরজিম পরিচালক রাসেল ভুইয়া (ঢাকা) তিনি বলেন, বৃহত্তর সিলেটের মধ্যে তাহিরপুর পর্যটকদের কাছে খুব ফেবারিট একটি স্থান। এ স্থানের সৌর্ন্দয্য ধরে রাখতে আগত পর্যটকদেরই মূখ্য ভ‚মিকা রাখতে হবে।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুপ্রভাত চাকমা বলেন, তাহিরপুর ঘুরতে আসা সকল পর্যটকদের দায়িত্ব সবগুলো পর্যটন স্পটগুলো ময়লা আবর্জনা দিয়ে নোংরা না করা। আমরা একাধিকবার এ বিষয়ে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেছি ভবিষ্যতে যারা হাওরের পানিতে বা সমতলে যত্রতত্র ময়লা আবর্জনা ফেলে নোংরা করবে তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করবো।