পুলিশ অ্যাসল্ট মামলা : হবিগঞ্জের ১৮৩ বিএনপি নেতাকর্মীর জামিন

13

হবিগঞ্জ সংবাদদাতা

পুলিশের দায়ের করা দুইটি মামলায় বিএনপির কেন্দ্রীয় সমবায় বিষয়ক সম্পাদক জি কে গউছসহ হবিগঞ্জের ১৮৩ জন নেতাকর্মীকে জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট। মঙ্গলবার বিকালে শুনানি শেষে বিচারপতি মোস্তফা জামান ইসলাম ও বিচারপতি এমডি আমিনুল ইসলামের দ্বৈত বেঞ্চ তাদের ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন মঞ্জুর করেন। এর আগে বিএনপি নেতাকর্মীরা উচ্চ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। তাদের পক্ষে আদালতে শুনানি করেন ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, সিনিয়র আইনজীবী ফজলুর রহমান, অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট সুফিয়া আক্তার হেলান।
জামিনপ্রাপ্তদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য নেতারা হলেন- জেলা বিএনপির আহŸায়ক মো. আবুল হাশিম, মাধবপুর উপজেলা চেয়ারম্যান সৈয়দ মো. শাহজাহান, শায়েস্তাগঞ্জ পৌর মেয়র ফরিদ আহমেদ অলি, মাধবপুর পৌর মেয়র হাবিবুর রহমান মানিক, ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া বেলাল, যুবদল আহŸায়ক জালাল আহমেদ, স্বেচ্ছাসেবক দল সদস্য সচিব এমদাদুল হক ইমরান, জেলা ছাত্রদল সভাপতি শাহ রাজীব আহমেদ রিংগন প্রমুখ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা ছাত্রদল সভাপতি শাহ রাজিব আহমেদ রিংগন। তিনি জানান, পুলিশের দায়ের করা দুইটি মামলায়ই আমরা মঙ্গলবার উচ্চ আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করি। বিচারপতিরা শুনানি শেষে আমাদের আবেদন মঞ্জুর করে ছয় সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন।
জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব এমদাদুল হক ইমরান বলেন, পুলিশ ভুয়া মামলা দিয়ে আমাদের হয়রানি করছে। আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর গুলি ছুড়েছে। এরপর আবার আমাদের বিরুদ্ধেই মামলা দিয়েছে। মামলা দিয়ে আমাদের আন্দোলন থেকে দমিয়ে রাখা যাবে না।
জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেন অ্যাডভোকেট আমিনুল ইসলাম। তিনি জানান, হবিগঞ্জের বিএনপি নেতাকর্মীরা জামিন আবেদন করেছিলেন। শুনানি শেষে বিচারকরা তাদের ৬ সপ্তাহের আগাম জামিন মঞ্জুর করেছেন।
গত ১৯ আগস্ট পদযাত্রা করে বিএনপি। এ সময় পুলিশের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে গুলিবিদ্ধসহ বিএনপির শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন। সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাও আহত হন। এ ঘটনায় ২১ আগস্ট পুলিশ বাদী হয়ে বিস্ফোরক ও পুলিশ অ্যাসল্টের অভিযোগে পৃথক দুইটি মামলা করেন। এসব মামলায় মোট ৭০০ জনকে আসামি করা হয়।