হবিগঞ্জ সংবাদদাতা
হবিগঞ্জ জেলায় বেড়েই চলেছে ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা। প্রতিদিনই জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে নতুন নতুন রোগী এসে ভর্তি হচ্ছে হাসপাতালগুলোতে। ফলে হাসপাতালেও বাড়ছে রোগীর চাপ। যদিও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছেন, রোগীর চাপ বাড়লেও সব ধরণের প্রস্তুতি রয়েছে তাদের।
জেলায় এ পর্যন্ত ডেঙ্গু সনাক্তের সংখ্যা ৩শ ছাড়িয়ে গেলেও ডেঙ্গু রোগের কারণে মৃত্যু হয়নি কারো। তবে জেলা সদর আধুনিক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ বলছে, রোগীদের বিধিনিষেধের বিষয়ে সচেতন করা হচ্ছে। আক্রান্ত রোগীরা যাতে করে মশারি টানিয়ে থাকে সে জন্য তাদেরকে বার বার বলা হচ্ছে। জানা গেছে, সারা দেশের মতো হবিগঞ্জ জেলায়ও ছড়িয়ে পড়েছে ডেঙ্গু রোগ। প্রথম দিকে ডেঙ্গু বিষয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে সচেতনতা লক্ষ্য করা গেলেও দিন দিন তা কমে আসছে। এমনকি ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীরাও হাসপাতালে ভর্তি থাকার পরও যে যার মতো করে ঘুরে বেড়াচ্ছে। থাকছেন না মশারি নিচে। এছাড়াও আক্রান্তরা তাদের স্বজনদের সাথে মিলে মিশে গল্পগুজবে ব্যস্ত সময় পাড় করছে। এমতাবস্থায় ডেঙ্গুর বিস্তার আরো ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা প্রকাশ করছেন সচেতন নাগরিক সমাজ। জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালে সর্দি নিয়ে চিকিৎসা করাতে আসা নাজনিন আক্তার নামে এক রোগী জানান, ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের জন্য আলাদা কর্ণার রয়েছে। তাদেরকে আলাদা কর্ণারে থেকে চিকিৎসা নেয়ার কথা। কিন্তু রোগীরা তা মানছে না। তিনি বলেন, রোগী ও স্বজনরা ডেঙ্গুর কোন বিধি নিষেধই মানছে না। ব্যবহার করছে না মশারিও। যে কারণে ডেঙ্গু ছড়িয়ে পড়ার শঙ্কা থাকছেই।
রুবেল আহমেদ নামে এক তরুণ জানান, ডেঙ্গুতে যদি আমরা বিধিনিষেধ না মানি তা হলে আমাদের জন্য ভয়াবহ অবস্থা সামনে অপেক্ষা করছে।
কলেজ ছাত্রী রুবি আক্তার জানান, আক্রান্তদের বিধিনিষেধ মানার পাশাপাশি আমাদেরও সচেতন হবে। পরিস্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে চারপাশ।
হবিগঞ্জ জেলা সদর আধুনিক হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা. আমিনুল হক সরকার জানান, সদর হাসপাতালে এ পর্যন্ত ১০৭ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিয়েছে। এর মধ্যে বর্তমানে ৮ জন রোগী ভর্তি রয়েছে এবং ৭ জনকে ঢাকা ও সিলেটে প্রেরণ করা হয়েছে। আমিনুল হক সরকার জানান, ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে সচেতনতা তৈরীতে আমরা কাজ করছি। লাখাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক ডা. মোঃ আরেফীন জানান, লাখাই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এ পর্যন্ত ২২০ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিয়েছে। বর্তমানে ১৫ জন রোগী ভর্তি আছে। এছাড়াও গত ২৪ ঘন্টায় নতুন করে ৩ জন ভর্তি হয়েছে।