মো.শাহজাহান মিয়া, জগন্নাথপুর থেকে
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে হঠাৎ করে কৃষকদের কাছ থেকে বোরো ধান সংগ্রহ বন্ধ হয়ে পড়েছে। এতে ধান বিক্রি করতে পারছেন না কৃষকরা। অনেকে ধান গুদামে এনেও বাড়ি ফিরে নিয়ে যাচ্ছেন। ফলে বঞ্চিত কৃষকদের মধ্যে রীতিমতো হতাশা ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
জানাগেছে, প্রতি বছরের মতো এবারো সরকারি ভাবে গত ৭ মে থেকে ১২০০ টাকা মণ দরে উচ্চমূল্যে কৃষকদের কাছ থেকে বোরো ধান সংগ্রহ শুরু হয়। ধান সংগ্রহের শেষ তারিখ ছিল আগামী ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। এ সময়ের মধ্যে জগন্নাথপুর সদর খাদ্য গুদাম ও রাণীগঞ্জ খাদ্য গুদামের মাধ্যমে ১৬৩৫ মেট্রিকটন ধান সংগ্রহ করার বরাদ্দ আসে। এ উপজেলায় সরকারের কাছে উচ্চমূল্যে ধান বিক্রি করতে কৃষকদের সংখ্যা বেশি থাকায় দুইবার লটারি হয়েছে। লটারিতে বিজয়ী কৃষকদের তালিকা প্রণয়ন করে ধান সংগ্রহ করা হয়। এর মধ্যে দুই খাদ্য গুদামের মাধ্যমে ১২৮৬ মেট্রিকটন ধান সংগ্রহ হওয়ার পর হঠাৎ করে ৩০ জুলাই থেকে ধান সংগ্রহ বন্ধ হয়ে যায়। এতে বেকায়দায় পড়ে যান ধান বিক্রি করতে আসা কৃষকরা। অনেকে গুদামে নিয়ে এসেও ধান বিক্রি করতে না পেরে বাড়ি ফেরত নিয়ে যাচ্ছেন।
এ ব্যাপারে কৃষক লিটন সহ কয়েকজন জানান, ভাগ্যক্রমে লটারিতে নাম উঠলেও কাজ হয়নি। হঠাৎ করে বন্ধ করে দেয়ায় এখন ধান বিক্রি করতে পারছি না। আমরা সরকারের কাছে উচ্চমূল্যে ধান বিক্রি করতে চাই। তাই আবার ধান সংগ্রহ শুরু করতে আমরা সরকারের উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নিকট জোর দাবি জানাচ্ছি। কারণ গত বোরো মৌসুমে জমি আবাদ করতে গিয়ে খরচ অনেক বেশি হয়েছে। যা উচ্চমূল্যে বিক্রি না করলে লোকসান গুণতে হবে।
১ আগস্ট মঙ্গলবার এ বিষয়ে জানতে চাইলে জগন্নাথপুর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কামরুল ইসলাম জানান, গত ১৫ দিন আগে দেশের বিভিন্ন স্থানে ধান সংগ্রহ বন্ধ হয়ে গেছে। এর মধ্যে গত ৩০ জুলাই থেকে বাংলাদেশ খাদ্য অধিদপ্তরের মৌখিক নির্দেশে জগন্নাথপুরে ধান সংগ্রহ বন্ধ রয়েছে। জগন্নাথপুর সদর খাদ্য গুদাম কর্মকর্তা দীপক সূত্র ধর বলেন, সরকারি সিদ্ধান্তে আপাতত ধান সংগ্রহ বন্ধ আছে। পরবর্তীতে ধান সংগ্রহের জন্য কোন নির্দেশনা আসলে আবার সংগ্রহ করা হবে।