স্টাফ রিপোর্টার :
ফেঞ্চুগঞ্জের কচুয়াবহরে যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী এক পরিবারের জায়গা দখলচেষ্টার অভিযোগ উঠেছে স্থানীয় এক প্রভাবশালী চক্রের বিরুদ্ধে। ওই প্রভাবশালী চক্র জায়গা দখল করতে অপতৎপরতা ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছে বলেও অভিযোগ করেন দক্ষিণ সুরমার সিলাম ইউনিয়নের চর মোহাম্মদপুর গ্রামের মরহুম মখলিছুর রহমান চৌধুরীর পুত্র এম এইচ আর শামীম চৌধুরী। বুধবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন করে এ অভিযোগ করেন তিনি।
শামীম চৌধুরী বলেন, ফেঞ্চুগঞ্জের কচুয়াবহর মৌজায় আমার চাচা মুহিবুর রহমান ৮৯ শতক জায়গা ক্রয় করেন। যা তিনি এবং তার মৃত্যুর পর আমার চাচী উম্মে কুলসুম ও তার দুই সন্তান রাজু রহমান ও ডিজু রহমান উক্ত জায়গা দীর্ঘ ২৮ বছর ধরে ভোগদখল করে আসছেন। তারা সকলেই আমেরিকা প্রবাসী হওয়ায় তাদের অবর্তমানে তা আমি দেখাশুনা করে আসছি। কিন্তু দীর্ঘদিন থেকে একই উপজেলার পশ্চিম কর্মদা গ্রামের আরব আলীর পুত্র মো. খোকা মিয়া, সেলিম মিয়া, মো. শামিম মিয়া ও মো. ফাহিম মিয়া ও তাদের সহযোগীরা এ জায়গার একটি অংশ দখল করতে নানা অপতৎপরতা শুরু করে।
আদালতের আদেশও না মেনে ওই প্রভাবশালী চক্র জায়গা দখলের চেষ্টা অব্যাহত রেখেছে জানিয়ে তিনি বলেন, তাদের অত্যাচারে বাধ্য হয়ে সহকারী জজ আদালত, ফেঞ্চুগঞ্জে আমার চাচী উম্মে কুলসুম গং একটি মোকদ্দমা দায়ের করেন। আদালত আমার চাচী উম্মে কুলসুম গং এর পক্ষে ডিক্রি প্রদান করে বিবাদীদের বিরুদ্ধে স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা জারি করেন। যা এখনও বলবৎ আছে। কিন্তু খোকা ও তার সহযোগীরা আদালতের আদেশ উপেক্ষা করে গত ২১ মার্চ এ জায়গাটি দখলের চেষ্টা চালায়। এ সময় দেশে অবস্থান করা আমার চাচাতো ভাই ডিজু রহমান তাদেরকে বাধা প্রদান করলে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ এবং তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদেরকে হত্যার হুমকি দেয় খোকা ও তার সহযোগীরা। বিষয়টি স্থানীয় মুরব্বিয়ানদের অবগত করলে মুরব্বিয়ানরা খোকা ও তার সহযোগীদের সালিশে বসার আহবান জানান। কিন্তু খোকা গংরা মুরব্বিয়ানদের আহবান প্রত্যাখ্যান করেন।
পরবর্তীতে এ ঘটনায় ২৪ মার্চ থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। এরপরে আবারও গত ২৭ মার্চ খোকা মিয়া ও তার সহযোগীরা মামলার রায় ও স্থায়ী নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে সংঘবদ্ধ হয়ে ওই জায়গায় অনধিকার প্রবেশ করে জোর পূর্বক ভূমিটি দখল করার চেষ্টা চালালে আমার চাচাতো ভাই ডিজু বাধা দেয়। এ সময় সেলিম মিয়া তাকে গালি-গালাজ করে এবং তাদের কাজে বাধা সৃষ্টি করলে ডিজু এবং তার পরিবারের লোকজনকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। বিষয়টি থানাকে অবগত করা হয় এবং পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে তারা পালিয়ে যায়। তবে তাদের বিরুদ্ধে পুলিশ কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেনি। আবারও ওই চক্র হামলা করতে পারে এই আশংকা জানিয়ে তাদের অপতৎরতা ও সন্ত্রাসী কর্মকান্ড বন্ধ এবং প্রবাসী পরিবারের সম্পদ রক্ষায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য প্রবাসী কল্যাণমন্ত্রী, সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি, পুলিশ সুপারসহ সংশ্লিষ্ট সকল মহলের হস্তক্ষেপ কামনা করেন তিনি।