সুনামগঞ্জ সংবাদদাতা
সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওরে নৌকা থেকে গ্রেফতার ৩৪ শিক্ষার্থীকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। সোমবার সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জের জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ ফারহান সাদিকের আদালতে হাজির করা হলে আদালত তাদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন। সুনামগঞ্জের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সাঈদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ৩১ জন বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী।
রবিবার বিকেলে এই ৩৪ জনকে আটক করে তাহিরপুর থানা-পুলিশ। একদিন পর সোমবার দুপুরে তাদের বিরুদ্ধে তাহিরপুর থানার এক উপ-পরিদর্শক বাদি হয়ে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করেন। গ্রেপ্তার শিক্ষার্থীরা ইসলামী ছাত্রশিবিরের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত বলে পুলিশ দাবি করছে। পুলিশ বলছে- এই শিক্ষার্থীরা হাওরে বেড়ানোর বাহানায় এখানে গোপন বৈঠক ও সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্র করতে এসেছিলেন। জননিরাপত্তা বিঘিœত ও মানুষের জানমালের ক্ষতিসাধনের উদ্দেশ্য ছিল তাদের।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আবু সাঈদ বলেন, পুলিশ গোপন সূত্রে তারা জানতে পারে এসব শিক্ষার্থী সন্ত্রাসী কার্যকলাপ ও সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্র করতে হাওরে জড়ো হয়েছে। রবিবার সকাল ৭টায় তাহিরপুর বাজারের নৌকাঘাট থেকে একটি নৌকায় করে এই ৩৪ শিক্ষার্থী টাঙ্গুয়ার হাওরে ঘুরতে যান। হাওরে ঘোরার পর একই দিন দুপুরে পাটলাই নদী দিয়ে ট্যাকেরঘাট পর্যটন এলাকায় যাচ্ছিলো তারা। এ সময় নতুন বাজারের সামনে নৌকাটি আসলে দুটি স্পিডবোটে করে পুলিশ গিয়ে তাদের থামিয়ে আটক করে তাহিরপুর থানায় নিয়ে আসে। এসময় শিক্ষার্থীদের নৌকার দুই চালক আহাদুল মিয়া ও মুহাদ্দিস মিয়াকে আটক করে পুলিশ। শিক্ষার্থীদের রবিবার জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সোমবার তাদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। সোমবার বিকেলে তাদের আদালতে প্রেরণ করা হলে বিচারক কারাগারে প্রেরণের নির্দেশন দেন।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- আফিফ আনোয়ার, বখতিয়ার নাফিস, মো. সাইখ, ইসমাইল ইবনে আজাদ, সাব্বির আহম্মেদ, তাজিমুর রাফি, মো. সাদ আদনান, মো. শামীম আল রাজি, মো. আবদুলাহ আল মুকিত, মো. জায়িম সরকার, হাইছাম বিন মাহবুব, মাহমুদুর হাসান, খালিদ আম্মার, মো. ফাহাদুল ইসলাম, তানভির আরাফাত, এ টি এম আবরার মুহতাদী, মো. ফয়সাল হাবিব, আনোয়ারুল্লাহ সিদ্দিকী, আলী আম্মার মৌয়াজ, মো. রাশেদ রায়হান, সাকিব শাহরিয়ার, ফায়েজ উস সোয়াইব, আবদুর রাফি, মাঈন উদ্দিন, আবদুল বারি, মো. বাকি বিল্লাহ, মাহাদি হাসান, টি এম তানভির হোসেন, আশ্রাফ আলী, মো. মাহমুদ হাসান, মো. এহসানুল হক, রাইয়ান আহম্মেদ, তানিমুল ইসলাম ও মো. আবদুল্লাহ মিয়া।