স্টাফ রিপোর্টার
সিলেটে চলমান লোডশেডিংয়ের কারণে অতিষ্ঠ সাধারণ মানুষ। বর্তমানে প্রতিদিন প্রায় ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ ঘাটতি রয়েছে সিলেটে। জাতীয় গ্রিড থেকে সরবরাহ বাড়িয়ে মঙ্গলবার তা কিছুটা কমিয়ে আনা হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড সিলেট অঞ্চলের প্রধান প্রকৌশলী আব্দুল কাদির বলেন, সিলেটের মানুষের অবস্থা বিবেচনা করে সরবরাহ বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। প্রতিদিন যেখানে ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুতের ঘাটতি থাকত গতকাল সেখানে একশ ঘাটতি রয়েছে। বিদ্যুৎ সরবরাহ হয়েছে ৫০০ মেগাওয়াট। গত কয়েক মাস ধরেই সিলেটে লোডশেডিং চলছে। সিটি নির্বাচনের সময় প্রায় নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ ছিল সিটি করপোরেশন এলাকায়। তবে বিভাগজুড়ে লোডশেডিংয়ের ভোগান্তি চলমান ছিল। গ্রাম ও শহরে সমানতালে প্রতিদিন ৫-১৫ ঘন্টা পর্যন্ত লোডশেডিং হচ্ছে। এদিকে গত কয়েকদিন ধরে গরম বেড়ে যাওয়ায় বিদ্যুতের চাহিদা বেড়েছে সিলেটজুড়ে।
জানা গেছে, সোমবার সিলেট বিভাগে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ৫৮০ মেগাওয়াট। বিপরীতে সরবরাহ পাওয়া যায় ৪৪০ মেগাওয়াট। ঘাটতি ছিল ১৪০ মেগাওয়াট। এর আগে প্রতিদিন প্রায় ২০০ মেগাওয়াট ঘাটতি ছিল। বর্তমানে পিকআওয়ারে লোডশেডিংয়ের পরিমাণ ৩৯ শতাংশ ও অফপিক আওয়ারে ২২ শতাংশ। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র বন্ধ থাকায় এর প্রভাব পড়েছে সিলেটে। নগরীর মীরের ময়দানের বাসিন্দা আবুল বাশার জানান, সোমবার বিদ্যুতের ভোগান্তি ছিল চরমে। যা গতকাল কিছুটা কমেছে। তবে সকালে দু’দফা লোডশেডিং হয়েছে।