কাজির বাজার ডেস্ক
নির্বাচনের আগে সংস্কার বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে মন্তব্য করে জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, জামায়াত সরকারকে দুটি রোডম্যাপ দিয়েছে; একটি সংস্কারের, অন্যটি নির্বাচনের। ভোটের আগে সংস্কার চায় জামায়াত। আগে সংস্কার, পরে নির্বাচন। এজন্য অনেকগুলো প্রস্তাব দিয়েছে জামায়াত। শনিবার বিকেল ৫টার দিকে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সংলাপ শেষে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির সংলাপ অনুষ্ঠিত হয়।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, এই অন্তর্র্বর্তী সরকার দেশ শাসনের জন্য আসেনি, তারা একটা ভোটের পরিবেশ তৈরির জন্য এসেছে। তাদের নানা রকম সংস্কারের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। জামায়াতের পক্ষ থেকে আগামী ৯ অক্টোবর রাষ্ট্র সংস্কারের রূপরেখা তুলে ধরা হবে। নির্বাচন থেকে সংস্কার বেশি গুরুত্বপূর্ণ। জামায়াত আমির বলেন, এই সরকারকে নিরপেক্ষ থেকে একটি ভালো নির্বাচন উপহার দেবে জাতিকে। আমরা সরকারকে যৌক্তিক সময় দিতে চায়, সেটা কতদিনের সেটা আমরা জানাব। জামায়াত সরকারকে দুটি রোডম্যাপ দিয়েছে জানিয়ে শফিকুর রহমান বলেন, একটি সংস্কারের, অন্যটি নির্বাচনের। ভোটের আগে সংস্কার চায় জামায়াত। আগে সংস্কার, পরে নির্বাচন। এজন্য অনেকগুলো প্রস্তাব দিয়েছে জামায়াত।
ডা. শফিকুর রহমান বলেন, গত ৩টা নির্বাচনে জাতি বঞ্চিত হয়েছে। আগামীতে জাতির সামনে একটা গ্রহণযোগ্য, সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ নির্বাচন উপহার দেওয়ার পরিবেশ তৈরি করে দেওয়া মূল কাজ। সেজন্য মৌলিক বিষয়ে তাদের কিছু সংস্কার করতেই হবে। কী কী মৌলিক বিষয়ে সংস্কার করা উচিত সে বিষয়ে আমরা কথা বলেছি।
জামায়াত আমির বলেন, জনগণ এবং সরকার একসঙ্গে কীভাবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও উন্নত করতে পারে, সব ধরনের ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে পারে সেই বিষয়গুলো নিয়ে আমাদের কথাবার্তা হয়েছে। আমরা আশা করছি, বর্তমান যে সরকার আছে তারা কোনো ধরনের পক্ষ-বিপক্ষের মানসিকতা না নিয়ে নিরপেক্ষ দৃষ্টিকোণ থেকে দেশকে একটা ভালো পর্যায়ে নিয়ে নির্বাচন দিতে সক্ষম হবে।
তিনি বলেন, দুর্গাপূজায় আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখার জন্য করণীয় কী এমন একটি প্রশ্ন এসেছিল। আমরা এ বিষয়ে আলোচনা করেছি। জনগণের সঙ্গে সরকারের পার্টনারশিপ লাগবে। জনগণের সম্পৃক্ততা প্রয়োজন হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও জনগণ যদি একসঙ্গে কাজ করে একটা অভ‚তপূর্ব দুর্গাপূজা হিন্দু ধর্মের ভাইবোনেরা উদযাপন করতে পারবেন।
এর আগে শনিবার বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে আমির ডা. শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে পাঁচ সদস্যের জামায়াতের প্রতিনিধি দল যমুনায় প্রবেশ করে।
জামায়াতে ইসলামীর প্রতিনিধি দলে ছিলেন দলটির নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, আ ন ম শামসুল ইসলাম ও সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার।