নবীগঞ্জ প্রতিনিধি
নবীগঞ্জে বকেয়া মজুরি, বোনাস, উৎসব ভাতা, ভবিষ্য তহবিলের বকেয়া টাকাসহ সাত দফা দাবিতে হবিগঞ্জের নবীগঞ্জে ঢাকা-সিলেট মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন চা শ্রমিকরা। এ সময় মহাসড়কে দেড় ঘণ্টাব্যাপী যান চলাচল বন্ধ ছিল। শনিবার দুপুরে নবীগঞ্জ উপজেলার ইমাম ও বাওয়ানী বাগানের চা শ্রমিকরা ঢাকা-সিলেট মহাসড়কের রোকনপুর বাজার এলাকায় এই বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন। চা শ্রমিকদের অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, এ দুটি বাগানে কাজ করেন ৩৬০ জন চা শ্রমিক। বাংলাদেশীয় চা সংসদ ও চা শ্রমিক ইউনিয়নের মধ্যে সম্পাদিত শ্রমচুক্তি অনুযায়ী তাদের বকেয়া অর্থ পরিশোধ করছে না মালিকপক্ষ। এ নিয়ে গত ২৫ জুন চা শ্রমিকদের সাত দফা দাবি বাস্তবায়নের জন্য ইমাম টি এস্টেট লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক বরাবর লিখিতভাবে জানানো হলেও তা আমলে নেওয়া হয়নি। যার পরিপ্রেক্ষিতে ৩ থেকে ১১ জুলাই কর্মবিরতি পালন করেন শ্রমিকরা।
শ্রমিকদের দাবি, ইমাম ও বাওয়ানী চা বাগানের শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি/এরিয়ার ৮১ লাখ ৫৯ হাজার টাকা এবং এরিয়া বোনাসের ১৪ লাখ ৪৭ হাজার টাকা পরিশোধ করছে না মলিকপক্ষ। এ ছাড়া চা বাগান শ্রমিক ভবিষ্য তহবিলের (পিএফ) ৫৫ লাখ ৮৯ হাজার টাকা মালিকপক্ষ পিএফ কার্যালয়ে জমা না দেওয়ায় অবসরপ্রাপ্ত শ্রমিকরা পিএফের অর্থ পাচ্ছেন না। সংকট সমাধানে সমঝোতা বৈঠকে ইমাম টি এস্টেট লিমিটেডের চেয়ারম্যান জি কে মাইনুদ্দিন চৌধুরী ১৮ জুলাইয়ের মধ্যে শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি/এরিয়ার অর্থ পরিশোধ এবং ভবিষ্য তহবিলের টাকা ৩০ আগস্টের মধ্যে পিএফ কার্যালয়ে কিস্তি আকারে জমাসহ যাবতীয় সুযোগ-সুবিধা প্রদানে আশ্বাস দেন। ১৮ জুলাই বকেয়া মজুরি/এরিয়ার অর্থ পরিশোধ করতে ব্যর্থ হয় মালিকপক্ষ। পুনরায় নতুন তারিখ হিসেবে ২০ জুলাই বকেয়া টাকা পরিশোধ করার আশ্বাস দেওয়া হয়। তবে ২০ জুলাইও বকেয়া পরিশোধ করা হয়নি।
ইমাম ও বাওয়ানী চা বাগানের মহাব্যবস্থাপক ফখরুল ইসলাম জানান, মালিকপক্ষকে শ্রমিকদের বকেয়া পরিশোধ করতে হবে। বাগান পরিচালনায় মালিকপক্ষ নানা অর্থনৈতিক সংকটে পড়েছেন। চা শ্রমিক ইউনিয়নের নেতাদের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে বকেয়া বেতন পরিশোধ করা হবে।