স্টাফ রিপোর্টার
দক্ষিণ সুরমা ও বিয়ানীবাজারে পৃথক অভিযান চালিয়ে ১৭ জুয়াড়ীকে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে পৃথক পৃথক অভিযান চালিয়ে তাদেরকে আটক করা হয়। এ সময় পুলিশ ঘটনাস্থল হতে নগদ টাকাসহ জুয়া খেলার সরঞ্জামাধী উদ্ধার করে।
দক্ষিণ সুরমায় আটককৃতরা হচ্ছে, নগরী দক্ষিণ সুরমা থানার ভার্থখলার মো. হারুন মিয়া’র ছেলে সোহাগ মিয়া (২২), নগরীর চাঁদনীঘাটের মৃত ময়না মিয়ার ছেলে সালেক মিয়া (৪০), কুষ্টিয়া জেলার মিরপুর থানার নওদা কল্যাণপুর এলাকার মৃত মকছেদ সরদারের ছেলে বর্তমানে মেটাল প্লাস, কদমতলী আমিরুল ইসলাম (৪০), দক্ষিণ সুরমা লালাবাজার ইউনিয়নের বাহাপুর গ্রামের মৃত রইছ আলীর ছেলে মো. সুজন মিয়া (৪০), সুনামগঞ্জ জেলার শাল্লা থানার, সাং-আনন্দপুর, বর্তমানে- মুছারগাঁও, তাজুল মিয়ার কলোনী মৃত ননি গোপাল রায়ের ছেলে রণরায় (৩৮), সুনামগঞ্জ জেলার ছাতক থানার শিমুলতলা গ্রামের ইছাক আলীর ছেলে বর্তমানে জেলরোড, মুর্শেদের বাড়ীর আলম (২৫), গোলাপগঞ্জ থানার রপিপুর, নোয়াবাড়ীর রুয়াব আলীর ছেলে খালেদ আহমদ (২৬), গোলাপগঞ্জ থানার রপিপুর, নোয়াবাড়ীর ওয়ারিছ আলীর ছেলে রাজন মিয়া (২০), ওসমানীনগর উপজেলার মজিদপুর গ্রামের মৃত সাজিদ উল্লাহর ছেলে আব্দুল কালাম (৪৭), সুনামগঞ্জ জেলার জগন্নাথপুর থানার দাওরাই গ্রামের বর্তমানে বালুচর, থানা-শাহপরান (রহ:) মহেশ সূত্রধরের ছেলে সজল সুত্রধর (৩৮), দক্ষিণ সুরমা থানার নগরীর চাঁদনীঘাটের বীরেন্দ্র পালের ছেলে নিখিল পাল (৪৫)। এবং বিয়ানীবাজারে আটকৃতরা হচ্ছে- বিয়ানীবাজার উপজেলার উলুউরি গ্রামের ছয়েফ আহমদ, গাংকুল গ্রামের কুতুব আলী, শানেশ্বর গ্রামের নাসির উদ্দিন, নন্দিশ্বর গ্রামের মারুফ আহমদ, বড়লেখা উপজেলার পাকশাইল গ্রামের জাবেদ হাসান, শানেশ্বর গ্রামের অস্থায়ী বাসিন্দা খায়রুল ইসলাম।
দক্ষিণ সুরমা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ শামসুদ্দোহা, পিপিএম, জানান, শুক্রবার রাত সোয়া ১০টা পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল হোসেন এর নেতৃত্বে বাবনা জিঞ্জিরশাহ মাজার, ক্বীন ব্রিজের নিচ এবং চাঁদনীঘাট মাছ বাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে ১১ জুয়াড়িকে আটক করে থানা পুলিশ। এ সময় তাদের কাছ থেকে জুয়া খেলার সামগ্রী উদ্ধার করা হয়।
এদিকে বিয়ানীবাজার সংবাদদাতা জানান, শুক্রবার রাতে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিয়ানীবাজারের মাথিউরা এলাকায় থানার এসআই শাহ মোহাম্মদ হিমেল, পাবেল আহমদ ও নাজমুল ইসলাম মামুন তাদের সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ইউনিয়নের আরেঙ্গাবাদ এলাকার আব্দুল করিমের বাড়িতে অভিযান পরিচালনা করেন। এসময় ঘরের বারান্দায় প্রকাশ্য জুয়া খেলা অবস্থায় হাতেনাতে ৬ জনকে আটক করেন। এসময় তাদের কাছ থেকে নগদ ১০ হাজার ২৬৪ টাকা, ৫ বান্ডেল তাস এবং জুয়া খেলায় ব্যবহৃত মালামাল জব্দ করা হয়।
এ ঘটনায় বিয়ানীবাজার থানায় এসআই শাহ মোহাম্মদ হিমেল বাদী হয়ে সংশ্লিষ্ট আইনে ৭ জনকে আসামী করে মামলা দায়ের করেছেন। আসামীদের মধ্যে ৬ জনকে আটক করা হলেও বাড়ির মালিক মৃত হাসিব আলীর ছেলে আব্দুল করিম পালিয়ে যান।
বিয়ানীবাজার থানার অফিসার ইনচার্জ তাজুল ইসলাম বলেন, মাদক ও জুয়ার বিষয়ে পুলিশ জিরো টলারেন্স। থানায় এলাকা মাদক ও জুয়া মুক্ত রাখতে পুলিশের এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে। তিনি মাদক ও জুয়ার বিষয়ে পুলিশকে তথ্য দিয়ে সহযোগিতা করার আহবান জানান।