ওসমানীনগর থেকে সংবাদদাতা :
বালাগঞ্জ উপজেলার পূর্ব পৈলনপুর ইউনিয়নের গালিমপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকের বেত্রাঘাতে ৭ শিক্ষার্থী আহত হওয়ার ঘটনায় গতকাল রবিবার সকাল দশটার দিকে অভিভাবকরা স্কুলে তালা ঝুলিয়ে দেন। এই ঘটনায় অভিভাবক ও স্থানীয়রা উদ্বেগ প্রকাশ করে অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তি দাবি করেন। খবর পেয়ে বেলা একটার দিকে উপজেলা শিক্ষা কমকর্তা স্কুলে গিয়ে দায়ী অভিযুক্ত শিক্ষকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়ে ক্ষুব্ধ অভিভাবকদরে শান্ত করেন।
শনিবার ক্লাসের পড়া না দেয়ায় শিক্ষকের বেত্রাঘাতে ৫ম শ্রেণীর সাত শিক্ষার্থী আহত হন। আহতদের মধ্যে গালিমপুর গ্রামের জগদীশ দাসের পুত্র সৌরভ দাশ, অর্নব দাস ও রঞ্জন দাসের পুত্র অনুপ দাসকে বিকেলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তারা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে বলে জানা গেছে। অন্যান্য আহতের মধ্যে একই গ্রামের আকাশ দাস, কর্ণমণি দাসের পুত্র জনি দাস, দ্বিপন দেবনাথের পুত্র দিগন্ত দেবনাথকে স্থানীয় চিকিৎসা কেন্দ্রে নিয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আহত শিক্ষার্থী সৌরভ দাশ ও অনুপ দাস জানায়- ক্লাসের পড়া সম্পন্ন করে না দেয়ায় রতœা ম্যাডাম (সহকারী শিক্ষিকা) উত্তেজিত হয়ে আমাদেরকে লাইনে দাঁড় করিয়ে বৈদ্যুতিক ওয়ার দিয়ে বেদম প্রহার করেন। এতে আমরা ৬-৭ জন আহত হই।
আহত শিক্ষার্থী সৌরভ ও অর্ণবের পিতা জগদীশ দাস বলেন- আমি বাজারে যাওয়ার জন্য রওয়ানা হলে দেখতে পাই ছাত্ররা আমার ছেলেদেরকে ধরাধরি করে বাড়ির দিকে নিয়ে আসছে। সহকারী শিক্ষিকা রতœা রানী দাশ আমার দুই ছেলেসহ ৭ ছাত্রকে বৈদ্যুতিক তার দিয়ে পিঠিয়ে আহত করেছেন।
এই স্কুলের প্রধান শিক্ষক অসিত বৈদ্য বলেন- আমি সকালে স্কুল থেকে উন্নয়ন মেলায় চলে যাই ঘটনাটি আমি বিকেলে শুনেছি। উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা আব্দুর রকিব ভূইয়া বলেন, হাসপাতালে গিয়ে আহত শিক্ষার্থীদের দেখেছি। স্কুলে গিয়ে অভিভাবকদের শান্ত করে তালা খুলে দিয়েছি। দায়ি শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
ইউএনও আব্দুল হক বলেন-বিষয়টি আমি শুনেছি, বিহিত ব্যবস্থা গ্রহণে শিক্ষা অফিসারকে বলেছি।