মো. শাহজাহান মিয়া, জগন্নাথপুর
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর পৌর শহরের বিকল্প সেতু পানিতে তলিয়ে যাওয়ায় গত ৪ দিন ধরে সব ধরণের যানবাহন চলাচল বন্ধ ছিল। অবশেষে বন্যার পানি কমে গিয়ে ভেসে উঠেছে সেই ডুবন্ত সেতু। সেতুর পূর্বপারের এপ্রোচ গর্তে মেরামত কাজ করে দেয়ায় ফের যান চলাচল স্বাভাবিক হওয়ায় জনমনে স্বস্তি ফিরে এসেছে।
জানাগেছে, বিগত এরশাদ সরকারের আমলে নির্মিত জগন্নাথপুর পৌর শহরের বুকচিরে বয়ে যাওয়া নলজুর নদীতে থাকা সেতু দিয়ে জগন্নাথপুর-সিলেট লাইনে যোগাযোগ ব্যবস্থা ছিল। এখানে বর্তমান আ.লীগ সরকারের আমলে এলজিইডির অধীনে দৃষ্টিনন্দন আর্চসেতু নির্মাণের জন্য গত কয়েক মাস আগে সেই পুরনো জনগুরুত্বপূর্ণ সেতুটি ভেঙে ফেলা হয়। তখন যোগাযোগ ব্যবস্থা স্বাভাবিক রাখতে হেলিপ্যাড হয়ে সি/এ মার্কেট এলাকায় স্টিলের নিচু ছোট বিকল্প সেতু নির্মাণ করা হয়। সেই সাথে শহীদ মিনার এলাকায় থাকা দেবে যাওয়া পুরনো ছোট সেতুটিও মেরামত করে ব্যবহার উপযোগী করা হয়। এতো দিন এ দুই বিকল্প সেতু দিয়ে কোন রকমে যানবাহন চলাচল করে আসছিল।
এর মধ্যে গত সপ্তাহের বন্যার পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নবনির্মিত বিকল্প সেতুটি তলিয়ে যাওয়ায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ফলে সচল থাকা একটি মাত্র শহীদ মিনার এলাকার ছোট সেতুতে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে জনভোগান্তি চরমে পৌছে যায়। পরিস্থিতি মোকাবেলায় স্থানীয় প্রশাসন জনভোগান্তি লাঘবে গত ৪ দিন আগে মাইকিং করে এ সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন। যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়ায় জনভোগান্তি আরো বেড়ে যায়। অবশেষে বন্যার পানি কমে গিয়ে সেই ডুবন্ত বিকল্প সেতুটি ভেসে উঠে এবং সেতুর পূর্বপারের এপ্রোচের গর্ত মেরামত করে দেয়ায় ৭ জুলাই শুক্রবার থেকে ফের বিকল্প সেতু ও শহীদ মিনার এলাকার সেতু দিয়ে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়। এতে জনমনে স্বস্তি বিরাজ করছে। গত ৪ দিন পর এসব সেতু দিয়ে ফের যানবাহন চলাচল শুরু করায় যানজট দেখা দেয়। এসব যানজট নিরসনে ট্রাফিক পুলিশ ও আনসার ভিডিপি দায়িত্ব পালন করেন এবং সমাজকর্মী আজিজ মিয়াকে সহযোগিতা করতে দেখা যায়। তবে বিকল্প সেতু দিয়ে চলাচলকারী গাড়ি চালক শাহিন মিয়া, রফিক মিয়া, গাড়ির যাত্রী কবির মিয়া ও পথচারী শহিদুল ইসলাম সহ অনেকে বলেন, এখানে অনেক কাঁদা। তার উপর মেরামত কাজ করা হয়েছে দায়সারা ভাবে। এখনই এপ্রোচ সড়কে গাড়ি দেবে যাচ্ছে। এতে আবারো যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এসব বিষয়ে জানতে বারবার চেষ্টা করেও জগন্নাথপুর উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) সোহরাব হোসেনের মন্তব্য পাওয়া যায়নি।