সিলেটে প্রবল ঝোড়ো-হাওয়া বৃষ্টি জলাবদ্ধতায় ভোগান্তিতে নগরবাসী

13

 

স্টাফ রিপোর্টার

সিলেটে কয়েকদিনের প্রচÐ গরমে জনজীবনে অস্বস্তিরের পর অবশেষে বৃষ্টি নেমেছে। মঙ্গলবার বিকেল সোয়া চারটার দিকে এই বৃষ্টি শুরু হয়। এরই সাথে ঝোড়ো বাতাস, কিছু কিছু জায়গায় শিলাবৃষ্টি ও অনেক স্থানে ঝোড়ো হওয়ার পাশাপাশি তুফানে গাছ-পালা উপড়ে গেছে এবং কোন বাড়ির ঘরের চাল বাতাসে উড়ে নিয়ে যাওয়ারও খবর পাওয়া গেছে। এছাড়া ঝড়-বৃষ্টিতে নগরী ও শহরতলীর বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুৎ বিভ্রাটের ঘটনাও ঘটেছে। গতকাল বিকেল এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে বজ্রসহ বৃষ্টি হচ্ছিল।
এর আগে, মঙ্গলবার আবহাওয়া অধিদপ্তর থেকে সকাল ৯টা থেকে পরবর্তী ২৪ ঘণ্টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে সিলেটসহ দেশের সব বিভাগে বৃষ্টিপাতের আভাস দেয়া হয়েছিলো। পূর্বাভাসে জানানো হয়- সিলেট বিভাগের অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা বা ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এদিকে, কিছু সময়ের বৃষ্টিতে সিলেট নগরী হাঁটুজল দেখা দিয়েছে। নগরীর বিভিন্ন রাস্তা ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ভোগান্তিতে পড়েন নগরবাসী। মঙ্গলবার বিকেলে প্রায় এক ঘন্টার বৃষ্টিতে নগরীতে এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। জানা যায়, সিলেটে প্রায় ঘন্টাখানেক এই বৃষ্টিতে নগরীর বিভিন্ন সড়কে কোথাও গোড়ালি, কোথাও হাঁটু পর্যন্ত পানি ওঠে। নগরীর ষ্টেশন রোড, তালতলা, জামতলা, পাঠানটুলা, মদিনা মার্কেট, সুনামগঞ্জ রোড, লন্ডনি রোড, হাওয়াপাড়া এলাকায় জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। বিভিন্ন এলাকার প্রধান সড়ক পানিতে তলিয়ে যায়। এছাড়া অনেক বাসাবাড়ি ও দোকানপাটের সামনেও পানি জমে।
জলাবদ্ধতায় ভুক্তভোগী একাধিক ব্যক্তি তাদের নিজেদের ফেইসবুকে জলাবদ্ধতার ছবি পোস্ট করে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা বলেন, কিছু সময়ের সামান্য বৃষ্টিতে এমন জলাবদ্ধতায় নগরীর মানুষ চরম বিপাকে। অথচ সিটি কতৃপক্ষের কোন মাথাব্যথা নেই।
ষ্টেশন রোডের এক ব্যবসায়ী বলেন, দীর্ঘদিন থেকে সামান্য বৃষ্টি হলেই সড়কে পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এখানে ড্রেন নির্মাণ করা হলেও অপরিকল্পিত ভাবে কাজ করার ফলে পানি নামছে না বলে অভিযোগ করেন ওই ব্যবসায়ী।
নগরীর একাধিক বাসিন্দাদের মতে, চারটি কারণে নগরীর অল্প সময়ের বৃষ্টিতেই এখন জলাবদ্ধতা দেখা দিচ্ছে। এগুলো হচ্ছে নগরীর ছড়াগুলোয় (প্রাকৃতিক খাল) অপরিকল্পিত উন্নয়নকাজ, অনেক ড্রেনের উন্নয়নকাজ ধীরগতিতে চলায় পানি চলাচলের স্বাভাবিক গতিপথ রুদ্ধ হয়ে পড়া, ছড়া-নর্দমার তলদেশে প্লাস্টিকসহ বিভিন্ন বর্জ্যে ভরাট হয়ে থাকা এমন সমস্যা দেখা দেয়।
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে সিলেট সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী নূর আজিজুর রহমান জানিয়েছেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে পরিকল্পিতভাবে উন্নয়নকাজ চলছে। পাঠানটুলা-মদিনা মার্কেট এলাকায় আমরা দুই ভাগে ড্রেন করতেছি। আর ওই এলাকার সড়কটি হচ্ছে নিচু তাই এমন সমস্যা দেখা দিচ্ছে। কাজ শেষ হলে এই সমস্যা আর থাকবে না।