সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলন ॥ মোগলাবাজারে প্রবাস ফেরত বৃদ্ধের ভূমি আত্মসাৎ করতে মরিয়া একটি চক্র

46
দক্ষিণ সুরমার মোগলাবাজারের গাজিরপাড়া গ্রামের গাজী গেদা মিয়ার উদ্যোগে সিলেট প্রেসক্লাবে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করছেন রুহিন আহমদ।

স্টাফ রিপোর্টার :
দক্ষিণ সুরমা উপজেলার মোগলাবাজারে জাল দলিলের মাধ্যমে ভূমি আত্মসাৎ চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে একই এলাকার আব্দুল্লাহ ও তার ছেলে জুবায়ের রাফিসহ ওই পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে। প্রবাস ফেরত এক বয়োবৃদ্ধের ভূমি আত্মসাতের উদ্দেশ্যে বৃদ্ধের স্বজনদের ওপর হামলা-মামলা, বহিরাগত লোক দিয়ে হুমকি ও নানাভাবে হয়রানিরও অভিযোগ পাওয়া গেছে। বুধবার সিলেট প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে এ অভিযোগ করেন উপজেলার খালোমুখস্থ গাজিরপাড়া গ্রামের হাজি গেদা মিয়া।
লিখিত বক্তব্যে গেদা মিয়া বলেন, আমি বার্ধক্য ও শারীরিক অসুস্থতার পাশাপাশি কোমর থেকে পা পর্যন্ত প্যারালাইজড হয়ে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছি। দীর্ঘ ৪০ বছর মধ্যপ্রাচ্যের সৌদি আরবে চাকরিরত ছিলাম। প্রবাসে চাকরির সুবাধে নিজের নামে জমি-জমা খরিদ করেছি। একই এলাকার আব্দুল্লাহ, তার ছেলে জুবায়ের রাফি ও তাদের পুরো পরিবারের কুদৃষ্টি পড়েছে আমার জায়গার ওপর। তারা জায়গা আত্মসাৎ করতে ভুয়া দলিল সৃজন করে নিজেদের পাশাপাশি বহিরাগত সন্ত্রাসীদের দিয়ে আমাদের বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। রাফি আদালতে জারিকারক পদে চাকরি করার সুবাদে আমাদেরকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেওয়ায় আমি আতঙ্কবোধ করছি।
গেদা মিয়া বলেন, ওই চক্র আমার জমি-জমা আত্মসাৎ করতে মরিয়া হয়ে ওঠেছে। এরই ধারাবাহিকতায় তারা আমার মেয়ে নাজমা বেগমের ৩ ছেলে, ভাতিজি মান্না ও তার ছেলে, চাচাতো ভাই নূর মিয়ার ছেলেসহ মোট ৬ জনের উপর মিথ্যা মামলা দায়ের করার পাশাপাশি, আমার মান-সম্মান ক্ষুণ্ন করতে বিভিন্ন মাধ্যমে অপপ্রচার চালাচ্ছে। রাফি গত ৩১ মে আমার বাড়ির রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকা ৪০ বছর বয়সের ভাতিজি মান্না বেগমের উপর মোটরসাইকেল তুলে গুরুতর আহত করে রাস্তায় ফেলে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে ওসমানী হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। এতেও ক্ষান্ত হয়নি ভাতিজির বাড়িতেও হামলা চালায় রাফি। হামলা করে রাফি নিজে থেকে পুলিশ এনে দাবি করে আমার পরিবার না-কি ঘরে প্রবেশ করে তার বাবা আব্দুল্লাহর ওপর হামলা চালিয়েছে। যা রাফির সাজানো নাটক ছিল। পুলিশ পরিদর্শনে এসে তার অভিযোগের সত্যতা পায়নি। বরং পুলিশ আমার ভাতিজি মান্না বেগমকে দেখে রাফিদের বিরুদ্ধে মামলা করার পরামর্শ দেয়। পরে আমার ভাতিজি বাদি হয়ে তার ওপর মোটরসাইকেল তুলে আহত করা এবং বাড়িতে হামলার ঘটনায় আদালতে রাফিসহ তার পরিবারের ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে।
গেদা মিয়া বলেন, রাফি তার আপন চাচা হাবিব মিয়ার জায়গা আত্মসাৎ করতে কুপিয়ে তাকে গুরুতর আহত করে। এ ঘটনায় রাফি ও তার পরিবারের সদস্যদের আসামি করে তারই চাচাতো ভাই জাকারিয়া বাদি হয়ে মামলা করে। এলাকার মুরুব্বিগণ রাফিদের কর্মকান্ডে অসন্তোষ্ট হয়ে পঞ্চায়েত থেকে তাদেরকে বাদ দিয়েছেন। সরকারি চাকরির সুবাদে এলাকায় সে দম্ভ করে চরাফেরা করে। তাদের ভয়ে আমি এবং আমার পরিবারের নিরাপত্তা চেয়ে মোগলাবাজার থানায় সাধারণ ডায়রি করেছি। সংবাদ সম্মেলনে গেদা মিয়া প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন মহলের সহযোগিতা কামনা করেছেন। গেদা মিয়ার পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন রুহিন আহমদ।