স্টাফ রিপোর্টার
সারাদেশে বইছে তাপপ্রবাহ। প্রায় ৪০ ডিগ্রির কাছাকাছি তাপমাত্রায় পুড়ছে দেশ। এতে অতিষ্ঠ হয়ে উঠছে জনজীবন। তবে সিলেটে অন্যান্য জেলার তুলনায় তাপপ্রবাহ কম আছে। যা সারা দেশের তাপমাত্রার চেয়েও গত বুধবার সিলেটে তাপমাত্রা কম ছিল। কবে বৃষ্টি নামবে আর কিছুটা স্বস্তি মিলবে সেই অপেক্ষায় দেশবাসী। এর মধ্যেই বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অধিদফতর। আগামী সপ্তাহের শুরুর দিকে নামবে বৃষ্টি। আর আগের কয়েক দিন ভুগতে হবে দাবদাহে।
বৃহস্পতিবার সকালে সবশেষ বার্তায় আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী রবিবার নাগাদ সিলেটে নামতে পারে বৃষ্টি। তবে এর আগের কয়েক দিন গরমের যন্ত্রণা অব্যাহত থাকবে।
পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, সিলেট বিভাগের চারটি ও ময়মনসিংহ বিভাগের চারটি জেলাসহ মোট ৫৭টি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। ঢাকা বিভাগের ১৩টি, রাজশাহী বিভাগের আটটি, খুলনা বিভাগের ১০টি, বরিশাল বিভাগের ছয়টি, চট্টগ্রাম বিভাগের ১১টি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে।
আবহাওয়া অধিদফতর জানায়, বুধবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৩৯.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এছাড়া ফরিদপুরে ৩৯.৩, মোংলায় ৩৯.৫, যশোরে ৩৯.৪, ঈশ্বরদীতে ৩৯.৩, ফরিদপুর ও খুলনায় ৩৯.০ রাজশাহীতে ৩৯.১, ঢাকায় ৩৮.৯, কুমারখালীতে ৩৮.৬, বান্দরবানে ৩৮.৪, সাতক্ষীরায় ৩৮.৩, টাঙ্গাইল, ফেনী ও রাঙ্গামাটিতে ৩৮.০ এবং সিলেটে ৩৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে। পূর্বাভাসে আরও বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। সেই সঙ্গে সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে। এ ছাড়া পরবর্তী তিন দিনে আবহাওয়া সামান্য পরিবর্তন হতে পারে।
সিলেট আবহাওয়া অফিসের আবহাওয়া সহকারী শ্রীনিবাস দেবনাথ বলেন, আবহাওয়ার রিপোর্টে দেখা যায়, এপ্রিলে তাপমাত্রা বাড়ার প্রবণতা থাকেই। এ সময়ে দখিনা বাতাস নেই, বাতাসে আর্দ্রতা কম, মানে জলীয় বাষ্পও তেমন নেই। যার কারণে তাপমাত্রা ধীরে ধীরে বাড়ছে এবং গরমও বেশ অসহনীয় হচ্ছে। তিনি বলেন, তাপপ্রবাহ প্রশমিত হওয়ার পর ধীরে ধীরে বৃষ্টিপাতের প্রবণতা বাড়বে শেষের দিকে। ২০ এপ্রিল থেকে বর্ষণের আভাস রয়েছে।