ছাতক প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জের ছাতকে বৃষ্টির পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে নাইন্দার হাওরের হাজার হাজার একর বোরো ফসল। এতে হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়েছেন স্থানীয় হাওর পাড়ের কৃষকরা। মির্জারখালে অপরিকল্পিত ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণের ফলে হাওরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়েছে বলে দাবি স্থানীয় কৃষকদের। এদিকে হাওরের ফসল রক্ষায় কৃষকদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মির্জাখালের মুখে বাঁধ কেটে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সুনামগঞ্জের পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) নির্বাহী প্রকৌশলী মো. সামছুদ্দোহা ও ইউএনও মো. নুরের জামান চৌধুরী মির্জারখাল পরিদর্শন শেষে সংশ্লিষ্ট পিআইসি কমিটিকে বাঁধের মুখ কেটে দেওয়ার নির্দেশনা দেন।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, উপজেলার নোয়ারাই ইউনিয়নের ২৮ নং পিআইসি মির্জারখালের বাঁধের কারণে অল্প বৃষ্টিতেই হাওরে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে গত সপ্তাহে সরকারি বিভিন্ন দপ্তরে কৃষকদের পক্ষ থেকে একাধিক লিখিত আবেদন করা হয়। সাবেক ইউপি সদস্য মনির উদ্দিনসহ এলাকার কৃষকরা জানান, প্রতি বছর পানি উন্নয়ন বোর্ডের আওতায় মির্জারখালে পরিকল্পনা অনুযায়ী ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হয়ে থাকে। বৃষ্টির পানি নিষ্কাশনের জন্য দুই পাশে বাঁশের খুঁটি ও ধাড়া (বাঁশের বেড়া) দিয়ে ব্যারিকেড করে ছোট একটি নালা রেখে বাঁধ নির্মাণ করা হয়। বন্যা না আসা পর্যন্ত নালাটি উন্মুক্ত থাকে এবং হাওরে জমে যাওয়া বৃষ্টির পানি নালা দিয়ে সুরমা নদীতে চলে যায়। বিগত প্রায় ১৫ বছর ধরে এই পদ্ধতিতেই মির্জারখালে ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হয়েছে। কিন্তু চলতি বছরে এর ব্যতিক্রম করে নালা না রেখেই বাঁধ নির্মাণ করায় বন্যার আগেই হাওরে জলাবদ্ধতা দেখা দেয়।
পাউবোর উপসহকারী প্রকৌশলী মহিউদ্দিন বলেন, বৃষ্টিতে নাইন্দার হাওরের বোরো ফসল তলিয়ে যায়। এটি এখন কেটে দিয়ে দ্রæত পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা করা হবে।