বাবরুল হাসান বাবলু তাহিরপুর থেকে :
তাহিরপুরে মাধ্যমিকের পাঠ্য বই সংকট। বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে কিছু নতুন বই তুলে দিয়ে বই উৎসব উদযাপন করা হলেও এখনো অধিকাংশ বিদ্যালয়ে শত ভাগ বই পায় নি শিক্ষার্থীরা।
প্রতিটি বিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ থেকে নবম/দশম শ্রেণীর শিক্ষার্থীদের মধ্যে আংশিক বই পৌঁছে দেয় হয়েছে বলে জানিয়েছেন একাধিক বিদ্যালয়ের সহকারী ও প্রধান শিক্ষক। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিস বলছে আগামী কিছুদের মধ্যে সকল শিক্ষার্থীর হাতে বই পৌঁছে দেয় হবে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায় তাহিরপুর উপজেলায় ২৯টি মাধমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান রয়েছে। শিক্ষার্থী রয়েছে ১৪ হাজার। এর মধ্যে অর্ধেক শিক্ষার্থীর হাতে কিছু বই তুলে দেয় হয়েছে। যারা এখনো বই পায় নি তারা রোজ বিদ্যালয়ে আসছেন বই নেয়ার জন্য। বই না পাওয়ার কারেণ অনেক শিক্ষার্থী ক্লাসে আসতে পারছে না।
ঘটা করে বছরের প্রথম দিনে শিক্ষার্থীদের হাতে নতুন বই তুলে দিয়ে ২০১০ সাল থেকে বই উৎসব পালন করছে সরকার (শিক্ষা মন্ত্রণালয়)। এ বছরও তার ব্যতিক্রম নয়। তবে এবার বই উৎসবে সকল শিক্ষার্থী বই পায় নি। যারা পেয়েছেন বই উৎসবের দিন তারা দু একটি বই পয়েছেন। বই উৎসবের দিন অনেক শিক্ষার্থী বই না পেয়ে কেঁদে বাড়ি ফেরার ঘটনাও ঘটেছে। এখনো নতুন বই পাওয়ার আশায় শিক্ষার্থীরা স্কুল মাদ্রসায় আসছেন প্রতিদিন। কিন্তু বই না পাওয়ায় হতাশ হয়ে বাড়ি ফিরছেন।
কাউকান্দি উচ্চ বিদ্যালয়ের ৭ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী আরিফা বেগম বলেন, বছরের শুরু ও পরে আমি ৪টি বই পেয়েছি এর মধ্যে একটি বই ফেরৎ দিতে হয়েছে। বাকি বই কবে পাবো বলতে পারছি না।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মিজানুর রহমান জানান, উপজেলার সব কটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ৮০ ভাগ বই পেয়েছে শিক্ষার্থীরা। কিন্তু সর জমিন তার উলটো। এখনো সব কটি বিদ্যালয়ে অর্ধেকের মত বই বাকি আছে বলে জানান একাধিক উচ্চ বিদ্যালয় ও মাদ্রসার শিক্ষক বৃন্দ।
বড়দল উচ্চ বিদ্যালয়ের ৮ম শ্রেণীর শিক্ষার্থী সুমন মিয়া বলেন, আমি বাংলা, অংক ও ইরেজী বই পেয়েছি। সব বই এখনো পাই নি। শুনেছি স্যার রা বলেছেন কিছু দিনের মধ্যে আমদের বিদ্যালয়ের সবাইকে সব বই দেয়া হবে।
বাগালী উচ্চ বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক প্রদীপ চন্দ্র বলেন, উপজেলায় সব কটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় ও মাদ্রসায় ৬০ ভাগের মত বই সরবরাহ করা হয়েছে। আমাদের বিদ্যালয়ে এখনো অনেক শিক্ষার্থীদের হাতে আমরা সম্পূর্ণ বই তোলে দিতে পারি নি। একই অবস্থার কথা জানালেন আনোয়ারপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক বিমল চন্দ্র দে।
জনতা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোদাচ্ছির আলম বলেন, এখনো অনেক শিক্ষার্থীদের হাতে সম্পূর্ণ বই তুলে দিতে পারি নি। তার মধ্যে দুই শ্রেণীর আরো দুটি বই প্রত্যাহার করা হয়েছে।