বিবিসির দিল্লি-মুম্বাই কার্যালয়ে তল্লাশি

11

কাজিরবাজার ডেস্ক :
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির দিল্লি ও মুম্বাই অফিসে তল্লাশি অভিযান চালিয়েছেন দেশটির কর কর্মকর্তারা। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সমালোচনা করে যুক্তরাজ্যে একটি তথ্যচিত্র সম্প্রচারের কয়েক সপ্তাহ পর এই অভিযান চালানো হলো।
মঙ্গলবার সকালে বিবিসির দিল্লি ও মুম্বাই কার্যালয়ে তল্লাশির জন্য ঢোকেন আয়কর কর্মকর্তারা। তবে কর্মকর্তারা বলছেন, তল্লাশি নয়, ‘আয়কর জরিপের’ অংশ হিসেবে তাঁরা বিবিসির কার্যালয় পরিদর্শনে গেছেন।
এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়, পুলিশ দিল্লির বিবিসি ভবন ঘেরাও করে রেখেছে এবং ওই ভবনে কেউ যাতে প্রবেশ করতে বা সেখান থেকে কেউ যাতে বের হতে না পারেন, সেজন্য বাইরে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আন্তর্জাতিক কর ও স্থানান্তর মূল্যের অনিয়মে বিবিসির বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে একটি জরিপ চালিয়েছিলেন ইনকাম ট্যাক্স অফিসের কর্মকর্তারা। এর পরিপ্রেক্ষিতেই আজ তল্লাশি চালানো হচ্ছে। ইতোমধ্যে কয়েকজন সাংবাদিকের মুঠোফোন, ল্যাপটপ কেড়ে নেওয়া হয়েছে।
বিবিসি বলছে, তারা কর্তৃপক্ষের সঙ্গে পুরোপুরি সহযোগিতা করছে। এক সংক্ষিপ্ত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আমরা আশা করছি অতি দ্রুত এই পরিস্থিতির অবসান হবে।
বিবিসির তথ্যচিত্রে ২০০২ সালে গুজরাটের সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার সময় মোদির ভূমিকা তুলে ধরা হয়, যা দেশটিতে তোলপাড় সৃষ্টি করে।
বিবিসি ২ নামে যুক্তরাজ্যের চ্যানেলটিতে ‘ইন্ডিয়া: দ্য মোদি কোশ্চেন’ তথ্যচিত্রটি গত মাসে ব্রিটেনে সম্প্রচারের পর এটি নিয়ে কার্যত ঝড় বয়ে যাচ্ছে ভারতে।
বিবিসির প্রামাণ্যচিত্রে প্রধানত দেখানো হয়েছে, কীভাবে ২০০২ সালে গুজরাটের দাঙ্গাকে ব্যবহার করে ওই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ২০১৪ সালে ভারতের প্রধানমন্ত্রী হলেন। এমন অনেক কথাই প্রামাণ্যচিত্রেতে বলা হয়েছে, যা নতুন নয়।
কিন্তু যাবতীয় তথ্য-উপাত্ত এক জায়গায় এনে বিবিসি একটি তত্ত্ব দাঁড় করিয়েছে। তত্ত্বটি হলো, গুজরাট দাঙ্গা মোদিকে প্রধানমন্ত্রী হতে সাহায্য করেছে।