জগন্নাথপুর থেকে সংবাদদাতা :
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে নলুয়ার হাওর বেড়িবাঁধের একটি প্রকল্পের কাজে থাকা মাটিকাটার এস্কেভেটর মেশিন পুড়ে গেছে। এতে প্রায় ৮ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। মেশিন পুড়ে যাওয়ায় প্রকল্পের মাটিকাটার কাজ বন্ধ রয়েছে।
জানাগেছে, জগন্নাথপুর উপজেলার কলকলিয়া ইউনিয়নের কান্দারগাঁও এবং নোয়াগাঁও গ্রামের মধ্যস্থান অংশে স্থানীয় কামারখালী নদীর পাড়ে ৭ লাখ ৭৯ হাজার টাকা ব্যয়ে ১নং পিআইসি প্রকল্পের মাধ্যমে হাওরের ফসল রক্ষা বাঁধ নির্মাণ করা হচ্ছে। ১নং পিআইসি কমিটির সভাপতি মাস্টার মিজানুর রহমান ও সদস্য সচিব ওবায়েদুর রহমান তালুকদার মুকুল বাঁধে এস্কেভেটর মেশিন দিয়ে মাটিকাটার কাজ করে যাচ্ছেন। সারাদিন মেশিন দিয়ে মাটিকাটার পর রাতে গ্রামের পাশে বাঁধ এলাকার হাওরে রাখা হয় মেশিন। মেশিনটি পাহারা দেয়ার জন্য লোকও থাকে।
এর মধ্যে ৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার রাতে পেট্রোল জাতীয় পদার্থ ঢেলে দিয়ে আগুন লাগিয়ে মেশিনটি পুড়ানো হয়। খবর পেয়ে রাতেই থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। ৮ ফেব্রুয়ারি বুধবার সরেজমিনে দেখা যায়, আগুনে মেশিনটির অধিকাংশ পুড়ে গেছে। এস্কেভেটর মেশিনের মালিক ছাতক উপজেলার কালারুকা ইউপি সদস্য নজর আমিন জানান, মেশিনটি পুড়ে প্রায় ৮ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। ১নং পিআইসি কমিটির সভাপতি মাস্টার মিজানুর রহমান বলেন, আমাদের বাঁধের কাজে থাকা মেশিনটি কে বা কারা পুড়ালো আমি জানি না। তবে সদস্য সচিব ওবায়েদুর রহমান তালুকদার মুকুল বলেন, প্রথমে মাটি কাটতে বাঁধা দেয়া হয়। রাতে আমার মেশিন পাহারাদার আবদুল খালেদকে মারপিট করা হয়। পরে মেশিনটি পুড়ানো হয়েছে। ঘটনাটি আমার ভাই মোস্তাফিজুর রহমান তালুকদার মুহিত সহ অনেকে দেখেন ও জানেন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের জগন্নাথপুর উপজেলা উপ-সহকারী প্রকৌশলী (এসও) মোহাম্মদ হাসান গাজী বলেন, এস্কেভেটর মেশিনটি পুড়ে যাওয়ার কারণে আপাতত কাজ বন্ধ রয়েছে। মেশিন পুড়ানোর সাথে জড়িত দুর্বৃত্তদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এখানে বিকল্প ব্যবস্থায় মাটিকাটা হবে।