জগন্নাথপুরে গরু সহ চোরকে ধরে গণধোলাই

11

জগন্নাথপুর থেকে সংবাদদাতা :
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে চুরি করা গরু সহ ইমন মিয়া (২০) নামের এক যুবককে গণধোলাই দিয়ে থানা পুলিশে দিয়েছেন উত্তেজিত জনতা। সে উপজেলার আশারকান্দি ইউনিয়নের পাটকুরা গ্রামের সুজন মিয়ার ছেলে। ঘটনাটি ঘটেছে, পাইলগাঁও ইউনিয়নের সাতা পয়েন্ট নামক বাজারে।
স্থানীয় ইউপি সদস্য আলিম উদ্দিন, সমাজকর্মী মাসুম আহমদ, খোকন মিয়া সহ অনেকে জানান, ৭ ফেব্রুয়ারি মঙ্গলবার ভোরে একটি ষাড় গরু নিয়ে স্থানীয় আলাগদি গ্রামের বড়বন হাওর দিয়ে এলোমেলো ভাবে দ্রুত গতিতে যাচ্ছিল ইমন। এ সময় স্থানীয়দের সন্দেহ হলে তারা তাকে বিভিন্ন কথা জিজ্ঞেস করলে সে গরু ফেলে দৌড়ে পালিয়ে যেতে চায়। তখন স্থানীয়রা তাকে ধরে গরু সহ সাতা পয়েন্ট বাজারে নিয়ে আসেন। এ সময় সে জানায়, উপজেলার সৈয়দপুর-শাহারপাড়া ইউনিয়নের কুড়িহাল গ্রামের সাকির মিয়ার গরু চুরি করে নিয়ে এসেছে। ঘটনাটি জানতে পেরে গরুর মালিক সাকির মিয়াও এসে উপস্থিত হয়েছেন। খবর পেয়ে জগন্নাথপুর থানার এসআই ওবায়েদুল্লাহ সহ পুলিশ দল ঘটনাস্থলে গেলে গরু সহ চোরকে হস্তান্তর করেন জনতা। তখন উপস্থিত ক্ষুব্ধ জনতাদের মধ্যে অনেকে জানান, গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে ওই অঞ্চল থেকে বিভিন্ন গ্রামের বিভিন্ন মালিকের ২৩টি গরু চুরি হয়েছে। ইদানিং গরু চুরি বৃদ্ধি পেয়েছে। গরু চোর আতঙ্কে অনেকে রাত জেগে পাহারা দিচ্ছেন বলে মাসুদ কামাল দিপু সহ অনেকে জানান।
এর মধ্যে সাতা গ্রামের জাহেদ মিয়ার ৩টি, মাকড়কোনা গ্রামের ছুরুক মিয়ার ৩টি, কাতিয়া গ্রামের আমির উদ্দিনের ৪টি, চরা গ্রামের মুহিত কাবেরির ৬টি, ঐহারদাস গ্রামের কামাল উদ্দিনের ১টি, দয়ালনগর গ্রামের আলী আকবরের ৪টি সহ ২৩টি গরু চুরি হয়েছে বলে চুরি যাওয়া গরুর মালিকরা জানান। এ বিষয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত ক্ষুব্ধ জনতাদের শান্তনা দিয়ে এসআই ওবায়েদুল্লাহ জানান, গরু চুরি রোধে রাতে পুলিশের টহল আরো বাড়ানো হবে।